Thursday, October 29, 2015

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়: গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়


-ফখরুদ্দীন মানিক
আমরা জানি গুগল এডসেন্স বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পি.পি.সি. এডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম কারণ তারা পাবলিশারদের সবচেয়ে বেশি পে করে থাকে। প্রায় সকল ব্লগার এবং ওয়েবমাষ্টাররাই চায় গুগল এডসেন্স দিয়ে তাদের সাইট/ব্লগ মনিটাইজেশন করার জন্য কিন্তু অনেকেই এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পায় না আবার অনেকে পেলেও কিছুদিনের মধ্যেই তাদের একাউন্ট ব্যান হয়ে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বলে যে তারা এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পায় না। কিন্তু আপনি যদি এডসেন্স একাউন্ট এর আবেদন এর পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখেন তাহলে খুব সহজেই একাউন্ট এর অনুমোদন পেয়ে যাবেন সাথে সাথে আপনার একাউন্ট ব্যান হবারও কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
১. নিজস্ব এবং টপ লেভেল ডোমেইন নেম
এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য ডোমেইন নাম অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক নতুন ব্লগাররা দেখা যায় যে ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস, উইবলী ইত্যাদিতে সাব-ডোমেইন দিয়ে একটি ব্লগ করে তার জন্য এডসেন্স এর অনুমোদন চায় কিন্তু তারা পান না। তাই আপনাকে অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ব্লগ/সাইট বিল্ডাপ করে তারপর এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। আর টপ লেভেল ডোমেইন বলতে মূলত .কম, .নেট, .ওআরজি কে বুঝায়। কিভাবে একটি ভালো, কার্যকরী এবং টপ লেভেলের একটি ডোমেইন কিনবেন তা বিস্তারিত দেখুন এইখানে।
২. ডোমেইন এর বয়স
এডসেন্স একাউন্ট পেতে ডোমেইন এর বয়স আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পেতে আপনার ডোমেইন এর বয়স কমপক্ষে ৩-৪ মাস হতে হবে (৬ মাস হলে ভালো হয়)। ৩-৪ মাসের মধ্যে আপনি আপনার ব্লগ/সাইটে ভালো কিছু কন্টেন্ট দিন আর সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর আনার জন্য ভালোভাবে এস.ই.ও. এর কাজ করুন।
৩. ইউজার ফ্রেন্ডলী ব্লগ/সাইট ডিজাইন এবং নেভিগেশন
আপনার ব্লগ/সাইট এর ডিজাইন অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলী হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই গুগল এর ওয়েব ডিজাইন গাইডলাইন অনুযায়ী আপনার ব্লগ/সাইট এর ডিজাইন করতে হবে। অন্যথায় আপনি এডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পেলেও পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট ব্যান হবার সম্ভাবনা থাকবে।
৪. কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ তৈরী করুন
একটি ব্লগ বা সাইটের জন্য কিছু পেজ (যেমনঃ প্রাইভেসি পলিসি পেজ, এবাউট পেজ, কন্টাক্ট পেজ ইত্যাদি) অনেক গুরুত্ব বহন করে যা অনেক নতুন ব্লগাররাই তাদের ব্লগ সাইটে পাবলিশ করতে ভুলে যান। এই পেজগুলো গুগল অনেক পছন্দ করে এবং আপনার ব্লগকে আরো বেশী ইউজার ফ্রেন্ডলী করে তোলে।
৫. কন্টেন্ট সম্পর্কে সচেতন থাকুন
গুগল এডসেন্স পলিসি অনুযায়ী আপনি আপনার সাইট/ব্লগে কোন কপিরাইটেড কন্টেন্ট, ইমেজ বা ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন না। এতে করে আপনি এডসেন্স এর অনুমতি পাবেন না, আর যদিও পান তাহলে পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে। তাই ব্লগে কপিরাইটেড কোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. পোষ্ট লিমিট
এডসেন্স এ আবেদন করার পূর্বে আপনার ব্লগে কমপক্ষে ৪০-৫০টি পোষ্ট থাকলে খুব সহজেই আপনি এডসেন্স এর অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন পোষ্টগুলো যাতে কমপক্ষে ৫০০-৬০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে হয় এবং কিছু পোষ্ট যাতে ১০০০-১৫০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে হয়।
৭. নাম, ইমেল এবং বয়স এর ভেরিফিকেশন
অনেকেই নাম এবং ইমেল ভেরিফিকেশন কে গুরুত্ব দেয় না, কিন্তু এটাও এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য একটি ফ্যাক্টর। আপনার ব্লগের এবাউট এবং কন্টাক্ট পেজ এ অবশ্যই আপনার আসল নাম আর ইমেইল আইডি দিবেন।
এডসেন্স এর অনুমোদন পেতে আপনার বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ১৮+ হতে হবে।
৮. সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর আনুন
এডসেন্স থেকে ভালো পরিমান উপার্জন করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অবশ্যই ভালো পরিমান ভিজিটর আপনার ব্লগে আসতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০-৩০০ ভিজিটর হলে খুব সহজেই এডসেন্স এর অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
৯. অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক অপসারণ করুন
আপনি যদি বর্তমানে ব্লগে অন্য কোন এড নেটওয়ার্ক (যেমনঃ ইনফোলিঙ্কস, চিঠিকা ইত্যাদি) ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই ঐ এড নেটওয়ার্কগুলো ব্লগ থেকে অপসারণ করতে হবে।
১০. পেইড ট্রাফিক
এডসেন্স এর পলিসি অনুযায়ী আপনার ব্লগের জন্য পেইড ট্রাফিক ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি ব্যবহার করে তাহলে এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাবেন না।

Monday, October 12, 2015

কিভাবে এডসেন্স এর আয় ৩০ দিনে ৩ গুন বৃদ্ধি করবেন

-ফখরুদ্দীন মানিক
যখন আপনি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভালো পরিমাণ ভিজিটর পাবেন তখন আপনি খুব সহজেই আপনার ঐ সাইট বা ব্লগ থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। একেকজন একেকভাবে তাদের ব্লগ থেকে আয় করে থাকে, কেউ গুগল এডসেন্স থেকে আয় করে, কেউ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আবার কেউ বিজ্ঞাপন দিয়ে। আপনি যদি এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে আয় করে থাকেন, আপনি হয়তবা আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় করতে পারছেন না। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আপনি এডসেন্স থেকে খুব ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন, মাত্র এক মাসের মধ্যে এডসেন্স থেকে আয় ৩ গুন পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এডসেন্স এর আয় ৩০ দিনে ৩ গুন বৃদ্ধি করবেন?

১. ব্লগের ডিজাইন

এডসেন্স থেকে বেশি পরিমাণ আয় করার জন্য ব্লগ বা সাইট এর ডিজাইন অনেক গুরুত্ব বহন করে। আপনার ব্লগ যত বেশী ইউজার-ফ্রেন্ডলী হবে, আপনি এড এ তত বেশী ক্লিক পাবেন আর এড এ যত বেশী ক্লিক পাবেন আপনার আয় তত বেশী হবে। আপনার ব্লগ এর ডিজাইন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, ভিজিটর যাতে খুব সহজেই তাদের দরকারী তথ্য পেতে পারে এবং এড এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রাখুন যেখানে ভিজিটর বেশীরভাগ সময় অবস্থান করে।

২. কোয়ালিটি কন্টেন্ট

বেশী পরিমাণ সি.পি.সি. (Cost per Click) পাবার জন্য আপনার ব্লগ বা সাইট এর কন্টেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। প্রতিটা কন্টেন্ট লেখার আগে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে নিন। এতে করে আপনি খুব সহজেই কন্টেন্ট এর জন্য এমন কিছু কীওয়ার্ড খুঁজে পাবেন যেগুলোর সি.পি.সি. অনেক বেশী।

৩. এড সাইজ

এডসেন্স থেকে ভালো পরিমাণ আয় করার জন্য এড সাইজ অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র সঠিক এড সাইজ ব্যবহার করার মাধ্যমেই আপনি সর্বোচ্চ পরিমাণ আয় করতে পারবেন। বড় সাইজের এড ইউনিট ব্যবহার করলে ভালো পরিমাণ সি.পি.সি. পাওয়া যায়।

কার্যকরী কয়েকটি এড ইউনিট

  • ৩৩৬*২৮০
  • ১৬০*৬০০
  • ৩০০*২৫০ এবং
  • ৭২৮*৯০

৪. এড প্লেসমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়

ব্লগ/সাইট এর কোথায় এড বসাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি এডসেন্স থেকে কত পরিমাণ আয় করবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন পেজ বা পোষ্ট এর উপরের দিকে এড স্লট বসানোর জন্য। হেডারে এড বসালেও তার থেকে অনেক বেশী পরিমাণ ক্লিক পাওয়া যায়। এছাড়া সাইডবার এ একটি বড় এড স্লট (১৬০*৬০০) বসাতে পারেন যা থেকে অনেক বেশী পরিমাণ আয় করা সম্ভব।

৫. এড এর ধরণ

আপনি হয়তোবা যেকোন একটি ধরনের এড (টেক্সট বা ইমেজ এড) ব্যবহার করে থাকেন যা আপনার এডসেন্স থেকে আয়ের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বেশী পরিমাণ আয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে উভয় ধরনের (টেক্সট এবং ইমেজ) এড ব্যবহার করতে হবে।

৬. এড এর ডিজাইন

আপনার ব্লগ এর ডিজাইন এবং ফ্রন্ট এর কালার এর সাথে মিলিয়ে এডসেন্স এড এর কালার ঠিক করুন এবং সেটি আপনার ব্লগে ব্যবহার করুন। এতে করে অনেক বেশি পরিমাণ ক্লিক পাবেন।

৭. অনেক বেশি ভালো না

ব্লগ/সাইটে বেশি পরিমাণ এড ইউনিট ব্যবহার করা ভালো না, এতে করে সি.পি.সি. কমে যায়। তাই যত কম সম্ভব এড ইউনিট ব্যবহার করা যায় সেই দিকে নজর রাখবেন। গুগল এডসেন্স অফিসিয়ালি একটি পেজ/পোষ্ট এ সর্বোচ্চ ৩টি এড ইউনিট ব্যবহার করার জন্য রিকোমান্ড করে থাকে।

৮. অর্গানিক ট্রাফিক এর উপরে গুরুত্ব দিন

আপনার ব্লগে যদি অর্গানিক সার্চ থেকে ভিজিটর আসে এবং তারা যদি এড এ ক্লিক করে তাহলে আপনি অনেক বেশী পরিমাণ সি.পি.সি. পাবেন। তাই এস.ই.ও. এর মাধ্যমে ব্লগে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিন।

৯. ব্লগ/সাইটের বিভিন্ন যায়গায় এড স্লট বসিয়ে পরীক্ষা করুন

ব্লগের বিভিন্ন যায়গায় যেমন (হেডার, পোষ্ট এর টাইটেল এর নিচে, পোষ্ট এর মাঝখানে, পোষ্ট এর একদম নিচে, ফুটারে, সাইডবার এর উপরের দিকে, মাঝখানে এবং নিচে) এড স্লট ব্যবহার করে দেখবেন, কোথায় এড স্লট বসালে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্লিক পাওয়া যায়।

১০. সার্চ এর জন্য এডসেন্স ব্যবহার করুন

আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগে সার্চ অপশন এর সাথে এডসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। গুগল এডসেন্স সহ গুগলের একটি সার্চ বক্স আপনার ব্লগে ব্যবহার করুন। এতে করে ভিজিটর যখন আপনার ব্লগে কোন কিছু সার্চ করবে তখন সার্চ রেজাল্ট এর উপরে/নিচে/সাইডে এডসেন্স এর এড দেখাবে যেখানে ভিসিটররা ক্লিক করলে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।

১১. কম সি.পি.সি. এর সাইটগুলো ব্লক করে দিন

যে সব পাবলিশার সাইটগুলো কম সি.পি.সি. দেয় সেই সাইটগুলোর এড বন্ধ করে দিন। আপনার এডসেন্স একাউন্ট এর ড্যাশবোর্ড থেকে খুব সহজেই আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১২. এডসেন্স ফ্রেন্ডলি robots.txtব্যবহার করবেন

এডসেন্স ফ্রেন্ডলী robots.txt ব্যবহার করুন যাতে করে গুগল খুব সহজেই আপনার ব্লগ অনুযায়ী এড সার্ভ করতে পারে।
robots.txt file এ নিচের কোডটি ব্যবহার করুন

Sunday, October 11, 2015

কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে দিনে ৫ থেকে ১০ ডলার আয় করবেন ? এডসেন্স, টিপস



ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় আমি মাসে বেশ ভালমানের অর্থ উপার্জন করছি আপনি যদি আমার মত গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে চান তবে আমার নিবন্ধগুলো ভালভাবে পড়ুন উপকৃত হবেন।
অনেক ব্লগার বা ওয়েবসাইট পরিচালক রয়েছেন যাদের কাছে অর্থ উপার্জনের অন্যতম প্রদান মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স কিন্তু গুগল এডসেন্স এবং এর কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আপনার ভালধারনা না থাকলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ভাল আয় করতে পারবেননা।
বিশ্বের অনেক প্রকাশক রয়েছেন যারা গুগল এডসেন্স ব্যাবহার করে থাকে কিন্তু সঠিক কর্মপদ্ধতি না জানার কারনে তারা গুগল এডসেন্স থেকে ভালমানের অর্থ উপার্জন করতে পারেনা । অধিকাংশ খুদ্র ব্লগ প্রকাশকের কাছে দৈনিক ৫ থেকে ১০ ডলার আয় করাটা স্বপ্নের মত অনেকেই তাদের দৈনিক কয়েক সেন্ট আয়কে কয়েক ডলারে পরিনত করতে চান তাদের জন্য এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আশা করি ।
কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে দিনে ৫ থেকে ১০ ডলার আয় করবেন ?

গুগল এডসেন্স থেকে আপনি যদি দৈনিক ভালমানের আয় করতে চান তবে সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি আসবে তা হল ভিজিটর আর বেশি ভিজিটর পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি ভালমানের ওয়েবসাইট । আপনি যদি ভালমানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তবে ভাল পাঠক পাবেন ।

তাই ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরির পূর্বে মনে রাখতে হবে ভিজিটরের আগ্রহ থাকে এমন কোন বিষয়ের উপরে ওয়েবসাইট নির্মাণ করা উচিৎ । গুগল শুধুমাত্র একটি সার্চ ইঞ্জিন নয় এটি একটি কৃত্তিম মেধা সম্পন্য রোবটও । কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেশি, কোথায় কত ভিজিটর যায়, কতক্ষন থাকে, কি কি ধরনের পাঠক ব্লগে আসছে, কোন কোন দেশ থেকে আসছে ইত্যাদি তথ্য গুগল সবসময় মনে রাখে।
দিনে ৫ থেকে ১০ ডলার আয় করার জন্য আপনাকে দৈনিক নুন্যতম ২০০০ জন পাঠকের ব্লগ থাকতে হবে এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে আগত পাঠকের পরিমান বেশি হতে হবে ফলে দৈনিক গড়ে ৫-১০ ডলার আয় করা সম্ভব হবে ।
আপনার ব্লগটি অবশ্যই গুগল এডওয়ার্ড এর ভাল এবং মুল্যবান কিওয়ার্ড ভিত্তিক তৈরি হতে হবে এক্ষেত্রে কম পাঠক নিয়েও আপনি আপনার দৈনিক আয়কে অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে পারবেন । উধাহরনস্বরূপ বলা যায় গাড়ী, ইনস্যুরেন্স, লাইসেন্স ইত্যাদি কিওয়ার্ড এর মুল্য অনেক বেশি প্রায় ১০ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত ।
ইউনিক এবং ভালমানের তথ্য ব্লগে রাখতে হবে অন্যথায় আপনার ক্লিক ভ্যালু কমে যাবে এবং প্রচুর পাঠক নিয়েও আপনার লাভ হবেনা কারন এর ফলে আপনার আয় অর্ধেকের চেয়েও বেশি কমে যাবার একটা সম্ভাবনা থাকছে ।
“ওল্ড ইস গোল্ড” কথাটি একেবারেই সত্য আপনি এবং আপনার ব্লগ গুগলের কাছে যত পুরাতন হবেন গুগল আপনার ব্লগ এবং আপনার প্রোফাইলকে তত জনপ্রিয় করে তুল্বে । এটি ঠিক আমাদের সামাজিক সম্পর্কের মতই একটি ব্যাপার আবার আপনি যদি প্রতারনামুলক কিছু করেন তাহলে গুগল আপনাকে এবং আপনার ব্লগে পাঠক না পাঠিয়ে সাজা দেবে ।
কখনোই প্রতারনার আশ্রয় নেবেন না ধরুন আপনি দিনে ৫ থেকে ১০ ডলার আয়ের জন্য পিটিসি সাইটে কয়েক ডলার দিয়ে হাজার হাজার পাঠক কিনলেন অথবা স্প্যাম পাঠকের সহায়তা নিলেন এক্ষেত্রে গুগলের এনালাইস্টিক টুলস আপনার সাইটের স্প্যাম নোটিফিকেশনটি ঠিকই গুগলের সার্চ বিভাগে পৌঁছে দেবে ফলে আপনি গুললের কাল তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন তাই সবসময় পরিস্কার থাকার চেস্টা করুন । সময় আপনাকে নাড়া দেবেই।
প্রতিনিয়ত আপনার ব্লগ থেকে মুল্যবান কিছু পাঠকের উদ্দেশ্যে দিন যেমন ইবুক কারন এর মাধ্যমে আপনি সহজেই জনপ্রিয়তা পাবেন ।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নিয়ে লিখছি আপনাকে অবশ্যই আপনার সাইটের জন্য বিজ্ঞাপন অপ্টিমাইজেশন করতে হবে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি না করেই কিভাবে গুগল এডসেন্স এর আয় বৃদ্ধি করবেন সে সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ আমি পূর্বেই প্রকাশ করেছি আপনি তা দেখতে প্রদর্শিত লিংকগুলোতে ক্লিক করুন ।

পরিশেষে ভাল আয় করার জন্য অবশ্যই ভালমানের কিওয়ার্ড পছন্দ করা উচিৎ তানাহলে ভাল ট্র্যাফিক নিয়েও আপনার আয় হবে যৎসামান্য । তাই এদিকটাতে গুরুত্বদিয়ে কাজ করুন আপনার দৈনিক আয় সহজেই ৫ থেকে ১০ ডলারের মাঝে অবস্থান করবে ।

Saturday, October 10, 2015

কিভাবে গুগল এডসেন্স এর অর্থ উত্তোলন করবেন ?

জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুগল বাংলাদেশী অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের জন্য একটি সুখবর নিয়ে এসেছে । গুগল অ্যাডসেন্সের টাকা এখন থেকে সরাসরি বাংলাদেশের ব্যাংকে পাওয়া যাবে। আগে বাংলাদেশী গুগল এডসেন্স প্রকাশকরা চেকের মাধ্যমে অর্থ বাংলাদেশে নিয়ে আসতো যা ছিল অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং জটিল প্রক্রিয়া তবে বর্তমানে চেকের বদলে ব্যাংকে ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ ঘরে আনা যাবে খুব সহজেই।
আন্তর্জাতিক ওয়্যার ট্রান্সফার চেকের পরিবর্তে দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ একটি মাধ্যম। বর্তমানে অ্যাডসেন্স প্রকাশকেরা আগের পদ্ধতির জায়গায় নতুন পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ করার মাধ্যমে এ সেবা পাবেন। পেমেন্টের নতুন এ ওয়্যার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে গুগল বাড়তি কোনো খরচ নেবে না। এখন অ্যাডসেন্স প্রকাশকদের ব্যাংকে যোগাযোগ করে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত অ্যাডসেন্স প্রকাশকেরা দেশীয় যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই সুবিধা পাবেন। তবে ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফারের জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ফি গ্রহন করে থাকে তাই আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে গুগল একাউন্ট সংযুক্ত করার পূর্বে ব্যাংক ফি সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন ।
কিভাবে গুগুল এডসেন্স এর সাথে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করবেন ?
এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি এর জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরন করুনঃ-
১, প্রথমে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে প্রবেশ করুন
Home  Google AdSense
২, বামদিকে লক্ষ্য করুন পেমেন্টস নামক একটি মেনু পাবেন সেখান থেকে পেমেন্ট সেটিংস এ চলে যান
৩, অতঃপর Add bank account বাটনে ক্লিক করুন ।
payment
৪, এই জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ এখানে সঠিক ভাবে আপনার-
i, ব্যাংক একাউন্ট নাম,
ii, ব্যাংকের নাম,
iii, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, এবং
iv, BIC code ( Bank Identification Code) প্রদান করুন এবং সেভ করুন । আপনি যদি আপনার ব্যাংকের সুইফট কোড বা BIC code সম্পর্কে জানতে চান তবে “বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের Swift Code/ BIC Code” নিবন্ধটি দেখুন ।
ব্যাস নিশ্চিন্ত থাকুন কারন এখন থেকে আপনার গুগুল এডসেন্স একাউন্ট এর আয় সরাসরি আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
যারা গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করছেন তারা নিজের ব্যাংক একাউন্টটি আপগ্রেড করে ইন্টারনেট ব্যাংক একাউন্ট ব্যাবহার করুন তাহলে আপনি ঘরে বসেই আপনার ব্যাংকের অর্থ দেখতে পাবেন । ভাল থাকবেন এই কামনায়।