Saturday, January 15, 2011

আপনি ব্লগার? এ্যাডসেন্স ছাড়াও ভালোই আয় করতে পারবেন!

আপনি ব্লগার? এ্যাডসেন্স ছাড়াও ভালোই আয় করতে পারবেন!

আপনি লোকমুখে শুনেছেন "ব্লগ" নামের একটি বিচিত্র জিনিস দিয়ে "এ্যাডসেন্স" নামের এক উপায়ে নাকি অনেক আয় হয়। তাই আপনিও উৎসাহিত হয়ে গিয়ে শুরু করে দিয়েছেন একটি ব্লগ। ভেবেছিলেন যে একটি ব্লগ খুলে কিছু একটা করলেই আয় হবে। ভালো করে অনেকেরই ধারনা ছিলোনা জিনিসটি সম্বন্ধে। কারন, অতি অল্প বয়সে হাতে কমপিউটার আর ইন্টারনেট পেয়ে গেছেন, জীবন সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনাই নেই এখনো। সহজেই টাকা হাতে এসে যাবেনা, তার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে।

টেকটিউনসের মতো সাইটে ঘুরতে ঘুরতে কেউ শুরু করেছেন ফটোশপের টিপস ও ট্রিকস শেখানো, কেউ লিখছেন উইন্ডোজ ব্যাতীত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে কিভাবে কী কী করা যায়; কেউ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড দিচ্ছেন, কেউ কেউ গান আর মুভি ডাউনলোড দিচ্ছেন। এর ফাঁকে ফাঁকেই শিখে নিচ্ছেন কোথায় ভালো ভালো ব্লগ থিম পাওয়া যাবে, কোথায় কী প্লাগিন ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে ইত্যাদি। কারো ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে উন্মাদনা, কারো বা জুমলা নিয়ে মাতামাতি। কেউ কেউ কিছু পিএইচপি শিখলেন, কেউ বা এইচটিএমএল আয়ত্ত করলেন কিছুটা।

অল্পদিনের মধ্যেই নিজেকে অনেক বড় "টেকি" ভেবে নিলেন, কিন্তু তারপরে যখন বুঝলেন এইভাবে হচ্ছেনা, তখন অনেকদিন পার হয়ে গিয়েছে। হয়তো মানুষের কাছে অনেক বাহবা পেলেন, সবাই বললো যে বাহ্‌ আপনি কতো জানেন, কী সুন্দর লেখেন, অনেক কিছু শেখার আছে আপনার লেখায় - সব হলো কিন্তু আয়ের আশা স্বপ্ন হয়েই থেকে যাচ্ছে। তাইনা? তার মূল কারন হচ্ছে যে আপনার মেধাকে সঠিক পথে চালিত করতে পারছেননা।

ইতিমধ্যে গিয়ে ঘুরে এসেছেন কিছু এক্সপার্টদের ব্লগে, পাশ্চাত্যের প্রোফেশনাল ব্লগারদের ব্লগেও, শুনেছেন তাদের ছয়-অঙ্কের আয়ের সংখ্যাটি। শুনেছেন এসইও করার কথা, শুনেছেন কীওয়ার্ড দিয়ে কীভাবে সাজাতে হবে লেখা, শুনেছেন যে ভীষণ দামী সব কীওয়ার্ড আছে, প্রতি ক্লিকে বিশাল মূল্য। কিন্তু সব করেও সাফল্য কাছে আসার বদলে দূরেই রয়ে গেছে। নিরাশ হয়েছেন, হতাশ হয়েছেন, গুগল এ্যাডসেন্সকে গালাগালি দিয়েছেন। কিন্তু আপনি ভাবেননি যে কেন আপনি সফল হতে পারছেন না! এখানেই গোড়ায় গলদ থেকে গিয়েছে।

ভালো করে বুঝে নিন, আপনি যতোবড়ই টেকি হোন না কেন, তাতে এ্যাডসেন্স দিয়ে আয় হওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ। কেন বলুন দেখি? বাংলাদেশের চেয়েও অনেক অংশে এগিয়ে আছে যেসব দেশ, সেখানে ছেলেমেয়েরাও আপনাদেরই মতো টেকি হয়ে গেছে। তাদের আর নতুন করে কিছুই শেখার নেই আপনার কাছে। পরের কারন হচ্ছে, এইসব লেখায় কিছু পণ্য বিক্রির কোনো সম্ভাবনাই নেই।

তাই, আপনার চাই সরাসরি এমন কোনো উপায় যা দিয়ে আপনার মেধার কিছু অংশ কিনে নেবেন প্রয়োজনী কেউ। অর্থাৎ, আপনি ফ্রিল্যান্স কাজের চেষ্টা করলে ভালো ফল পাবেন, কিন্তু গুগল এ্যাডসেন্স দিয়ে নয়। যদি ফটোশপের ট্রিকস জানেন, তবে নানাবিধ আকর্ষণীয় ডিজাইনের ব্লগ খুলুন। কিছু জিনিস ফ্রি দিন, কিছু প্রিমিয়াম কন্টেন্ট দিয়ে আয় করুন! দয়া করে এ্যাডসেন্সের উপরে ভরসা করে থাকবেননা। এ্যাডসেন্স একমাত্র আয়ের উৎস নয়।

এ্যাডসেন্সকে দোষী না ভেবে তাকে বুঝুন ভালো করে। এ্যাডওয়ার্ডস দিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তারাই যারা কিছু পণ্য বিক্রয় করছেন। আপনার ফটোশপ টিপস ও ট্রিকসের ব্লগে কিছু বিক্রয় হবে কি? হলে সেটা কী? আগে সেই পণ্য চিহ্নিত করুন। ফটোশপ সফটওয়্যার বিক্রির সম্ভাবনা থাকতে পারে, তবে সেটা বড়ই ক্ষীণ সম্ভাবনা। যারা ফটোশপ অরিজিনাল কিনবেন তারা আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন দেখে কিনবেননা। তারা আগে থেকেই জানেন ফটোশপ কী, কে বানায়, কতো দাম - তারা সরাসরি প্রধান বিক্রেতার ওয়েবসাইট থেকেই কিনে নেবেন। এছাড়া আর কী হতে পারে? টিপস এন্ড ট্রিকস শেখানোর নানাবিধ ই-বুক আছে ভিডিও আছে, লোকে সেইসব ডাউনলোড করে নেবে। আপনার কী হবে?

সুতরাং, ব্লগে আগত পাঠককে আপনি যা দিতে পারবেন সেইটা থেকেই আয়ের পথ বানাতে হবে। আজকাল ওয়েব ডিজাইনের যুগ, আকর্ষণীয় ব্যানার তৈরী করুন, ফ্ল্যাশে কিম্বা ফটোশপে। নানাবিধ এফেক্ট দিয়ে ওয়েব বাটন তৈরী করুন। সিএসএস জানলে সরল সুন্দর ওয়েব মেনু তৈরী করুন। সেইগুলির কিছু ফ্রি দিয়ে বেশি আকর্ষণীয়গুলো প্রিমিয়াম হিসেবে দিন এবং আয় করে নিন আপনার মেধার উপযুক্ত প্রয়োগ করে।

আপনি কি ওয়েব ডিজাইনার? তবে নিজের বানানো কিছু সাইটের ডিজাইন প্রদর্শন করুন আপনার সাইটে, লোককে জানান আপনি এই কাজ করেন। বিভিন্ন ফোরামে গিয়ে জানান আপনার কাজের নমুনা। অনেকেই খুঁজছেন ওয়েব ডিজাইনার, সুন্দর আয় করতে পারবেন। একটি সাইট ডিজাইন হয়ে গেলেই তার স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের সাইটে দেবেন। যদি নিজের প্রচেষ্টায় সবটা না পারেন, তবে ডিজাইনারদের জন্য সাইট আছে, সেখানে নিজের সামগ্রী ডিসপ্লে দিন, বিক্রি হবে, আপনি টাকার শেয়ার পাবেন।

আপনি কি প্রোগ্রামার? কাস্টম সফটওয়্যার বানাতে পারেন? তাহলে ফ্রিল্যান্সে বাড়তি আয় করতে পারবেন। আপনার করা প্রোজেক্টগুলির বিবরণ ও বৃত্তান্ত সব বুঝিয়ে লিখে কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে ব্লগ তৈরী করুন। এতে ভালোই আয় আছে।

ব্লগ এবং ব্লগ থেকে আয় মানেই গুগল এ্যাডসেন্স এবং তার বিকল্প এ্যাডব্রাইট, চিতিকা, ক্লিকসর, বিডভার্টাইজার ইত্যাদি নয়। আপনার মেধা থাকলেই হবেনা, তা দিয়ে আয় করতেও জানতে হবে। ভুল পথে চেষ্টা করলে হাজার পরিশ্রমেও আয়ের মুখ দেখতে পাবেননা। ব্যাপারটা এমন যে আপনার এক বন্ধুকে দাঁড়াতে বললেন বনানীতে, আর আপনি তাকে খুঁজতে চলে গেলেন গুলশানে। এমন করলে কেবল পরিশ্রমই হবে, বন্ধুকে খুঁজে পাওয়ার আশা নেই। বন্ধুকে যেখানে দাঁড়াতে বলবেন, সেখানেই যাবেন, তাকে সেখানেই পাবেন। আয়ের বেলাতেও ঠিক তাই। যেটা জানেন যেটা পারেন সেই বিষয়ে ব্লগিং করুন, এ্যাডসেন্স নিয়েই গোঁ ধরে বসে থাকবেননা কারন এ্যাডসেন্স ছাড়াও আয়ের প্রচুর সম্ভাবনা আছে সেইগুলি ধরে এগোলে এ্যাডসেন্সের চাইতে অনেক বেশিই আয় করতে পারবেন।
Source:
adsense alternative

যারা অনলাইন আয় এ নতুন তাদের জন্য এই পোস্ট টা (অনলাইন আয় এর সহজ দুই পদ্ধতি)

যারা অনলাইন আয় এ নতুন তাদের জন্য এই পোস্ট টা (অনলাইন আয় এর সহজ দুই পদ্ধতি) সাথে পেপ্যাল থেকে টাকা উত্তোলন ট্রিকস !! অনলাইনে আয়


লিখেছেন ফাহিম রেজা বাঁধন

মোবাইলে: 01712400773 (1pm থেকে 9pm)
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে মঙ্গলবার, 30 নভেম্বর 2010

কেমন আছেন !! মনে হয় ভাল। আমি ও আল্লাহ রহমতে ভাল আছি।

কিছু দিন থেকে আমার কাছে ফোন আসতেছে । সবাই বলে ভাই গুগল এডসেন্স ছাড়া কি আর অনলাইন এ আয় করার ব্যবস্থা নাই । শুধু তাদের জন্য আমার এই লেখা। যাই হোক গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায় এটা সবাই জানে । কিন্তু কত জন সৎ পথে এখান থেকে আয় করতেছে। এখান থেকে আয় করতে চাইলে অবশ্যই তার মাঝে কিছু গুন থাকতে হবে । যেমন

  • তাকে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ABC জ্ঞান থাকতে হবে ।
  • ব্লগিং করার মত জ্ঞান থাকে হবে ।
  • ইংলিশ জানতে হবে । এটা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই লাগবে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ সম্পর্কে অনেক ভাল ধারনা থাকতে হবে।

এ রকম আর জ্ঞান থাকতে হবে। এখন যাদের মাঝে এই গুন গুলো নেই তারা কখনেই গুগল এডসেন্স আয় করতে পারবে না। যারা অসৎ পথে আছে তাদের কথা বাদেই দিলাম । এখন প্রশ্ন হল যারা গুগল এডসেন্স বা ব্লগিং সম্পর্কে তেমন একটা জানে না তাদের কি হবে?

এই প্রশ্ন আপনার?

হ্যা আপনাদের জন্য আজ আমার এই পোস্ট। আজ আমি এমন কিছু মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার কথা জানাবো , যে মাধ্যম গুলো সহজ ও ইন্টারনেট চালানোর সামন্য অবিজ্ঞতা থাকলে ও সামন্য কিছু সময় দিয়ে অনায়াশে আপনি মাসে একটা ভাল এমাউন্ট পেতে পারেন , যা দিয়ে আপনি আপনার পকেট খরজ ও মোবাইল খরজ চালাতে পারবেন।

আমি আজ যে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হল এফিলিয়েট মার্কেটিং । এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন , এর জন্য আপনাকে কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় করতে হবে না। কি ভাবে করবেন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং তা নিয়ে আমি আজ আলোচনা করবো। আমি আজ দুটো সাইট এর সাথে পরিচয় করে দিবো যা থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। সাইট দুটির নাম www.co.cc এবং www.ziddu.com

www.co.cc:

CO.CC:Free Domain

www.co.cc হল একটা ফ্রী ডোমেইন সাইট এটা সবাই জানে । এরা ফ্রীতে ডোমেইন নেইম দিয়ে থাকে । এ নিয়ে বেশি কথা বললামান । যাই হোক এ থেকে কি ভাবে আয় করা যায় এবার আমি সেই কথায় বলছি । আপনি তবে এখানে নিজের ডোমেইন নেয়ার পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় এর সুযোগ আছে ।

co.cc থেকে কিভাবে আয় করবেঃ

এখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন । এখানে আপনি কাউকে রেজিষ্ট্রেশন করালে .10$ পাবেন । এবং 1$ হলে আপনি পে-আউট করতে পারবেন । এবং এই পে-আউট কেবল পেপ্যাল দিয়ে করা যায়। বাংলাদেশ এ যেহেতু পেপ্যাল সাপর্ট করে না তাই একটু অনন্য পদ্ধতি টাকা আনতে হবে নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখন বলি কিভাবে কাজ করবেন। ১ম co.cc সাইট এ জান রেজিষ্ট্রেশন করুন এবং তার পর Referrals এ ক্লিক করুন (নিচের ছবি টা দেখুন) এবং Referrals এর জন্য আবার রেজিষ্ট্রেশন করুন ব্যস কাজ শেষ। এবার তারা একটা রেজিষ্ট্রেশন লিঙ্ক দিবে তা দিয়ে আপনি অনন্য কাউ কে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে আয় করুন এবং আপনার ব্লগ থাকলে আপনি আপনার ব্লগ এ Referrals ব্যানার এড দিয়ে এই কাজ করতে পারেন।

www.ziddu.com:

www.ziddu.com এই সাইট টা মুলত ফাইল শেয়ারিং সাইট তবে এথানে রয়েছে আয় করার সুযোগ । আপনি আপনার ব্লগ লিখেও এ মাধ্যমে বিভিন্ন সফট আপলোড করে তা নিয়ে ডাউনলোড লিংক দিয়ে আয় করতে পারেন । তা ছাড়া আপনি এফিলিয়েট মার্কিটিং এর মাধ্যমে অন্য কাউ কে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে আয় করতে পারেন ।

কি ভাবে পেপ্যাল থেকে টাকা আনবেনঃ

এখানে আমি দু পদ্ধতি কথা আলোচনা করবো। এই পদ্ধতিগুলো আমি জেনে ছি আমার এক বড় ভাই এর কাজ থেকে । এবং এগুলো পরীক্ষিত ।

১নং পদ্ধতিঃ

এই পদ্ধতিটি টাকা আনা একটু সহজ । আপনি এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আনতে পারবেন যেমন পেপ্যালবিডি ডট কম। এই সাইটে আপনি একাউন্ট খুলুন এবং এদের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র পুরন করে সদস্য ফি দিয়ে একাউন্টটি একটিভ নিন । এখানে সদস্য ফি ২০০৳ থেকে ৫০০৳ নিতে পারে। একাউন্টটি একটিভ হয়ে গেলে আপনি সহজে এরপর থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি লেনেদেনে তারা ৫% থেকে সর্বোচ্চ ১০% ফি রাখবে।

২নং পদ্ধতিঃ

যারা অনলাইনে কম টাকা আয় করেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি টা ভাল । কারন এই পদ্ধতি তে আপনি সহজে মোবাইল বা নেট বিল দিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যে কোন ভাবে একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলতে হবে (ভেরিফাই এর দরকার নেই পরবেন না) তারপর www.ziddu.com বা www.co.ccremit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়। আয়ের জমাকৃত টাকা আয়ের জমাকৃত টাকা remit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়।

তথ্য সুত্র: বিডি টিউটোরিয়াল২৪ ব্লগ

ইন্টারনেটে আয় করুন নিশ্চয়তার সাথে

ইন্টারনেটে আয় করুন নিশ্চয়তার সাথে

Bএই আর্টিকেলটি কম্পিউটার বিচিত্রার “ঘরে বসে আয়” বিভাগে ছাপানো হয়।

ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন, তারা ভালভাবেই জানেন একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কমপিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদেরকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সেখানে কাজ করার জন্য কোনো বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মুহূর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও খুব সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কার্স :
www.microworkers.com

প্রথম দর্শনেই সাইটটি সহজবোধ্য মনে হবে। মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইটের কাজগুলো খুব ছোট ছোট। এক একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ মাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উঠানো যায়।
মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এ দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে, তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে।
Worker হিসেবে কাজ শুরু করার আগে প্রথমে সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিঙ্কে ক্লিক করলে কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায়- কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোনো একটি কাজের শিরোনামের ওপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে ‘What is expected from workers?’ অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন, তা প্রমাণ দিতে কী কী তথ্য দিতে হবে, তা ‘Required proof that task was finished?’ অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে ‘I accept this job’ লিঙ্কে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোনো কাজ করতে না পারলে ‘Not interested in this job’ লিঙ্কে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভালো, সেক্ষেত্রে এ কাজটি ‘Available Jobs’ পাতায় আর কখনো দেখাবে না।

কাজের বিভিন্ন ধরন

এবার দেখা যাক, সাইটে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয়।

ক্লিক অ্যান্ড সার্চ (টাকা ০.১০-টাকা ০.১৫) :
এ ক্ষেত্রে তথা গ্রাহক একটি সাইটের লিঙ্ক দেবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সবশেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।

বুকমার্ক এ পেজ (টাকা ০.১০-টাকা ০.২০) :
গ্রাহকের কোনো একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দেবে। বুকমার্ক করার আগে ওই সাইটে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

সাইনআপ (টাকা ০.১০-টাকা ০.২০) :
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ই-মেইলের কারণে আপনার দরকারী ই-মেইল খোঁজে পাবেন না।

কমেন্ড অন আদার (টাকা ০.১০ - টাকা ০.১৫) :
এ কাজে গ্রাহকের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

ফোরাম (টাকা ০.১০ - টাকা ০.১৫) :
এ ধরনের কাজের জন্য কোনো একটি ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোনো ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।

ফেসবুক (টাকা ০.১৫ - টাকা ০.২০) :
এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে নেয়া বা ক্লায়েন্টের ভক্ত হওয়া অথবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall-এ পোস্ট করা।

টুইটার (টাকা ০.১৫-টাকা ০.২০) :
এক্ষেত্রে twitter.com-এ একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের অ্যাকাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।

রাইট অ্যান আর্টিকল (টাকা ০.৫০ - টাকা ১.৭৫) :
মাইক্রোওয়ার্কার্সে পাওয়া কাজগুলোর মধ্যে এ ধরনের কাজ অর্থাৎ কোনো বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে একদিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বাড়ে তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজিতে লেখায় দক্ষতা আছে, তারাই শুধু এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হলো কি না, তা http://www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।

ব্লগ/ওয়েবসাইট ওনারস (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৮০) :
অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+, PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসব ওয়েবসাইটের পেজ র্যাাঙ্ক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড, যা কোনো ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেজ র্যা ঙ্ক কত, তা http://www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার আগে http://www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেজ র্যা ঙ্ক থাকবে। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন, তাহলে কয়েক মাস পর পেজ র্যা ঙ্ক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভালো র্যা ঙ্কের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক বিনিময় করতে পারলে পেজ র্যা।ঙ্ক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।

ডাউনলোড অ্যান্ড/অর ইনস্টল (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৩৫) :
এ কাজে কোনো সফটওয়্যার শুধু ডাউনলোড এবং কোনো কোনো সময় ইনস্টলও করতে হয়।

পোস্ট অ্যান অ্যাড অন ক্র্যায়েজলিস্ট (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৭৫) :
http://www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের দেয়া কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য আগেই সাইটটিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

অর্থ উত্তোলন

* শুধু ‘Satisfied’ রেটিং পেলেই সে কাজের টাকা আপনার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।

* চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনোটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।

* অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের বেশি হলেই শুধু টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে।

* প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বারটি পরে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে কি না, তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।

* ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে।

আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার ইতোমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং এরা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে, এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান, তাদের জন্য এ সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভালো উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানীং এ সাইটকে অনুসরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
http://www.minuteworkers. com,
http://www.rapidworkers.com,
http://www.minijobz.com ইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কার্সের মতো আসলেই টাকা পাওয়া যায় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Friday, January 14, 2011

Earn by Internet ( BD Website)

Earn by Internet : BD Website List:
http://www.earnhelp.com/
http://www.bdtips.com
http://www.rashi12.com/AdSense/
http://www.clickonlinejobs.com
http://www.blogkori.com

http://paypalbd.com/home.php
http://www.earn-money-from-bd.info
http://www.onlinejobsbd.com/

EARN BY INTERNET (BOOK)

ইন্টারনেটে লিখে আয়

ইন্টারনেটে লিখে আয়

ইন্টারনেট থেকে আয়-রোজগারের বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইন্টারনেটে বহুমুখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে যে কেউ ঘরে বসেই অর্থ আয় করতে পারেন। এ সুবিধা দিতে ইন্টারনেটে রয়েছে প্রচুর বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট। এগুলোর একেকটির কাজ একেক রকম। তবে ইন্টারনেটে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় করার প্রতি ঝুঁকে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত ব্লগাররা কোনো বিষয়ের ওপর আলাদা একটি ব্লগ খুলে সেখানে ব্লগিং করে থাকেন এবং ব্লগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন যেমন অ্যাডসেন্স অ্যাডব্রাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে আয় করে থাকেন। তবে সবার জন্য অ্যাডসেন্স জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো আয় করা সম্ভব হয় না। অনেকে খুব ভালো লিখেও তেমন একটা আয় করতে পারেন না। অন্যদিকে কেউ কেউ তেমন কিছু না লিখে ব্লগকে জমিয়ে তুলে দু’হাতে আয় করতে থাকেন। তবে যারা ভালো লিখতে পারেন (ইংরেজিতে), তাদের জন্য অ্যাডসেন্স জাতীয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অল্প পরিশ্রমে ভালো আয় করার সুযোগ রয়েছে ইন্টারনেটে।
ইন্টারনেটে গড়ে উঠেছে সৃজনশীল লেখক বা ব্লগারদের জন্য এক মার্কেট প্লেস যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিটি পোস্ট বা আর্টিকেলের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ মূল্য তথা দাম পাবেন। এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনার নিজের ব্লগে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বা তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে রিভিউমূলক পোস্ট লেখার বিনিময়ে আপনাকে তার মূল্য পরিশোধ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ আবার মোট মূল্যের ওপর শতকরা হারও নিজেরা রেখে দেয়। আসুন জেনে আসি তেমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কথা, যারা আপনার নিজের ব্লগে পোস্ট করার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে থাকে।
কিন্তু কীভাবে? এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন-
এম. হারুন অর রশিদ

পে-পার-পোস্ট

http://payperpost.com
পে-পার-পোস্টেও রয়েছে প্রচুর বিজ্ঞাপনদাতা বা অ্যাডভার্টাইজার, যারা নিজেদের পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লেখার জন্য ব্লগারদের অপেক্ষায় থাকে। পে-পার-পোস্ট সর্বাধিক ব্যবহারকারীসমৃদ্ধ ও সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। এটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনের অন্যতম কারণ—তারা ব্লগারের আয়ের কোনো শতকরা হার নেয় না। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পে-পার-পোস্টে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগ অনুমোদন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের আগে আপনার ব্লগ অবশ্যই ন্যূনতম এক মাস পুরনো হতে হবে এবং অন্ততপক্ষে দশটি পোস্ট প্রকাশিত থাকতে হবে। আপনার পোস্ট প্রকাশ করার পর তাদের সেটা অনুমোদনের জন্য জানাতে হবে। পোস্ট অনুমোদিত হওয়ার ত্রিশ দিন পর আপনি পে-পালের মাধ্যমে টাকা পাবেন যা মার্কিন ডলারের হিসাবে হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম পোস্ট হিসেবে আপনাকে পে-পার-পোস্ট নিয়েই একটি রিভিউ লিখতে হবে। সেটা অনুমোদিত হলে আপনাকে ২০ ডলার দেয়া হবে তার মূল্যস্বরূপ।

সোশ্যাল স্পার্ক

http://socialspark.com
সোশ্যাল স্পার্ক একই ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত পে-পার-পোস্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠান আইজিয়া’র তৈরি। এটিকে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার ব্লগকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন এবং রিভিউ লেখার প্রেক্ষিতে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগ অনুমোদিত করার জন্য আপনার ব্লগটি ন্যূনতম তিন মাসের পুরনো হতে হবে। সোশ্যাল স্পার্ক পে-পালের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য নিয়মাবলি পে-পার-পোস্টের মতোই।

রিভিউ মি

http://reviewme.com
রিভিউ মি ইন্টারনেট জগতে আরেকটি বিখ্যাত নাম, যারা প্রতিটি আর্টিকেল বা পোস্টের বিনিময়ে ন্যূনতম ৪০ ডলার দিয়ে থাকে। অবশ্য তারা মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ নিয়ে নেয়। অর্থাত্ প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে আপনার সর্বনিম্ন আয় হতে পারে ২০ ডলার। তবে রিভিউ মি নেটওয়ার্কে আপনার ব্লগ অনুমোদন করাতে চাইলে আপনার ব্লগ অবশ্যই গুগল পেজ র্যাঙ্কে ৪ হতে হবে এবং প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার হিট বা ভিজিটর থাকতে হবে। জনপ্রিয় ও অধিক ভিজিটরসমৃদ্ধ ব্লগগুলোর জন্য সেরা একটি প্রতিষ্ঠান হতে পারে রিভিউ মি।

লাউড লঞ্চ

http://loudlaunch.com
লাউড লঞ্চ হচ্ছে পে-পার-পোস্টের মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান যারা প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে অর্থ দিয়ে থাকে। লাউড লঞ্চ ব্লগ অনুমোদন করতে বেশ সময় নেয় যদিও এদের পোস্ট অনুমোদন করার পর মূল্য পরিশোধ করা হয় খুব দ্রুত এবং পে-পালের মাধ্যমে। লাউড লঞ্চে ব্লগ যুক্ত করার জন্য আপনার ব্লগ অবশ্যই ন্যূনতম দু’মাস পুরনো হতে হবে।

স্পন্সরড রিভিউ

http://sponsoredreviews.com
স্পন্সরড রিভিউ পে-পার-পোস্টের মতোই আরেকটি বিখ্যাত ও বিশাল ইন্টারনেট মানি-ব্লগিং মার্কেট প্লেস। তবে এই নেটওয়ার্কে আপনাকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বা যাদের পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লিখতে হবে তাদের খুঁজে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পোস্টটির জন্য আপনাকে দাম বিড করতে হবে। বিজ্ঞাপনদাতা আপনার বিড করা দাম দেখবে এবং প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে। একইভাবে বিজ্ঞাপনদাতাও আপনাকে দিয়ে রিভিউ লেখানোর জন্য বিড করতে পারে এবং আপনি প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। এমনটি হয়ে থাকে যদি আপনার লেখা সৃজনশীল, তথ্যমূলক, গোছানো ও সুন্দর ব্যাখ্যাপূর্ণ হয়। স্পন্সরড রিভিউ আপনার উপার্জিত অর্থের (প্রতিটি পোস্টে প্রাপ্ত মূল্য থেকে) শতকরা ৩৫ শতাংশ কমিশন হিসেবে নিয়ে থাকে। এছাড়া তাদের মূল্য পরিশোধ পদ্ধতিও পে-পালের মাধ্যমে এবং তারা যেসব ব্লগ অনুমোদন করে সেগুলো ন্যূনতম তিন মাস পুরনো হতে হয় এবং মেজর সার্চ ইঞ্জিনগুলোর আওতাভুক্ত হতে হয়।
ওপরের প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও আরও বেশকিছু ওয়েবসাইট আছে যারা এ জাতীয় সেবা দিয়ে থাকে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আপনার ব্লগের প্রতিটি পোস্টের জন্য এসব কোম্পানি টাকা দিয়ে থাকে না। বরং কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পোস্ট লিখতে হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা বিজ্ঞাপনদাতা আপনার লেখাটি পড়ে দেখবে এবং পছন্দ হলে তা অনুমোদন করবে। অনুমোদিত পোস্টের মূল্য পে-পালের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। কিন্তু পে-পাল বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না। সেক্ষেত্রে প্রবাসে থাকা আপনার পরিচিত এবং বিশ্বস্ত কারও সহায়তা নিতে পারেন।

ইন্টারনেটে আয়ের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ :

ইন্টারনেটে আয়ের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ :
ইন্টারনেটে আয়ের উত্স হতে পারে আমাদের অন্যতম আয়ের সঠিক ও সম্মানজনক পথ। প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে যে কোনো পেশার মানুষ অংশ নিতে পারবে। চাকরিজীবীদের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবার ক্লাস এবং রয়েছে সান্ধ্যকালীন ব্যাচের সুবিধা। ইন্টারনেটে আয়ের কাজগুলো প্রজেক্টভিত্তিক হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ শেষে আয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করছে Splendor IT। প্রশিক্ষণে ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১০ ভাগ ছাড় এবং বিশেষ ব্যাচের সুবিধা। ফোন : ০১৯১৬-২৭৮০৫৮

পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং

পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বায়নের এই যুগে কাজের ক্ষেত্র বর্তমানে নিজ দেশ কিংবা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত। স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত বিশ্বে দক্ষ, আধা দক্ষ এমনকি অদক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সংস্কৃতি চালু রয়েছে বিশ্বের দেশে দেশে। বাংলাদেশ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আসে প্রবাসে কর্মরতদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। তবে বর্তমানে বিদেশে গিয়ে দৈহিক পরিশ্রম করেই যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে এমন নয়। তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার এ যুগে দেশে বসেই প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে আউটসোসিং। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চুক্তি অনুযাযী কোন কাজ করাকে সাধারণত আউটসোর্সিং বলা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্স কর্মীদের জন্য অনলাইনে কাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। আউটসোর্সিং ব্যবসা যে কেউ যে কোন স্থান থেকে করতে পারে কিন্তু সমপ্রতি সাইটটি সেরা ৪০০ মধ্যে রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে সম্ভাবনাময় দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি কমর্ীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের কর্মচেষ্টায় র্যাংকিং এর শীর্ষ ৩ এ উঠে আসে ঢাকার নাম। ঢাকা ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এ বিশ্বের সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে আউটসোর্সিং এ আমাদের যতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটেনি। এর মধ্যে অন্যতম ঘাটতি রয়েছে সংশিস্নষ্ট ক্ষেত্রে সচেতনতার বিষয়ে।

ওডেস্কের এক তথ্য মতে ঢাকার এ সফলতার পেছনে রয়েছে সস্তা শ্রম এবং ইংরেজিতে দক্ষতার বিষয়টি। ঢাকার ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং-এ ওডেস্কের মাধ্যমে যেসব কাজ বেশি করে থাকে তার মধ্যে হচ্ছে- গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি এবং চেকআপ, অনুবাদ এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওডেস্কে আউটসোর্সিং-এ শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতের চন্ডিগড়, মোহালী, ঢাকা এবং ফিলিপাইন। তবে ঢাকার অর্ধেক ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকে। ফিলিপাইন এবং আমেরিকার এক রিপোর্ট অনুসারে ভারত হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আউটসোর্সিং করা দেশ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার ডলারের মতো আয় করে থাকে।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়া সম্ভব হলে দ্রুত সমৃদ্ধ হবে আমাদের আউটসোর্সিং সংস্কৃতি। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা নেই। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নেই ইন্টারনেট সংযোগ।

বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওডেস্কসহ অন্য যে কোন আউটসোর্সিং বিষয়ক ওয়েব সাইটে ঢুকলে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কাজের সন্ধান পাওয়া যাবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও কাজের অফার রয়েছে। তবে সংশিস্নষ্ট কাজের দক্ষতা থাকা চাই।

ওয়েবসাইট, আইটি এবং সফটওয়্যার : ওয়েবসাইট, আইটি এবং সফটওয়্যার বিষয়ক কাজ রয়েছে এখানে। সংশিস্নষ্ট বিষয়ের কাজ জানা কর্মীরা এখানে প্রায় ১৫০ ধরনের আলাদা আলাদা কাজের সন্ধান পাবেন।

মোবাইল ফোন এন্ড কম্পিউটিং : মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটিং বিষয়ে পারদর্শীরা এখান থেকে কাজ নিতে পারেন। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা ১৫ ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন।

রাইটিং এন্ড কনটেন্ট : যারা লেখালেখিতে বেশ দক্ষ, তারা এখানে কাজ পেতে পারেন। এখানে ৩৫ ধরনের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখার কাজ পাওয়া যায়।

ডিজাইন, মিডিয়া এন্ড আর্কিটেকচার : আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ডিজাইনের কাজ অনেক বেশি পরিমাণে করে থাকে। এখানে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের ওপর প্রায় ৫৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায।

ডাটা এন্টি : বাংলাদেশে আউটসোর্সিং জগতে সবচেয়ে বেশি হয় ডাটা এন্ট্রির কাজ। এখানে ডাটা এন্টি সংক্রান্ত ১৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

সেলস এন্ড মার্কেটিং : সেলস এন্ড মার্কেটিং ব্যবসা-বাণিজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দিন দিন বাড়ছে এই খাতের পরিধি। এখানে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের ওপর ১৬ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড লিগ্যাল : ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়ের কাজ পাওয়া যায় এখানে। সংশিস্নষ্ট ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ ধরনের কাজ পাওয়া যায় এখানে।

ডেফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) ৬ মাস মেয়াদি 'সার্টিফাইড আউটসোর্সিং প্রফেশনাল' কোর্স চালু করেছে। এ কোর্সে আউটসোর্সিং নিয়মাবলী থেকে শুরু করে আয় করা পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপ হাতে কলমে শেখানো হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা শিক্ষাথর্ীদের ব্যাংক একাউন্টে জমা হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করা হবে। ফোন: ৯১১৭২০৫, ০১৭১৩৪৯৩১৬৩, ০১৭১৩৪৯৩২৫১, ০১৭১৩৪৯৩২৬৭।

০০ শরীফ নিজাম

ওয়েবে অর্থ আয়ের তথ্য

ওয়েবে অর্থ আয়ের তথ্য

ওয়েব সাইটে গুগল এ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ঘরে বসে ডলার আয় বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে মিমডোর ডটকম সাইটে। এতে রয়েছে গুগল থেকে টাকা পাওয়ার তথ্য, গুগল কেন টাকা দেবে, এরজন্য কি করতে হবে প্রভৃতি তথ্য। এছাড়াও বিদেশ উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাঋণের তথ্য, স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সহ নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এই সাইটে। সাইটির ঠিকানা: www.mimdoor.com

ইন্টারনেটে আয়ের কোর্সে ভর্তি

ইন্টারনেটে আয়ের কোর্সে ভর্তি
বিনিয়োগ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী এক বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। ইন্টারনেটের আয়ের উত্সকে কাজে লাগিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ঝঢ়ষবহফড়ত্ ওঞ চালু করেছে ইন্টারনেটে আয়ের পূর্ণাঙ্গ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং প্রোগ্রাম। পড়ালেখার পাশাপাশি, চাকরির অবসরে কিংবা কৌশল জানা সত্ত্বেও যারা কাজ না জানার কারণে আয় করতে পারছে না, তাদের জন্য এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম। ঐঝঈ পাস যে কেউ এই কোর্সে অংশ নিতে পারবে। ট্রেনিং প্রোগ্রামে ইন্টারনেটে সহজে আয়ের কৌশল, অর্থ প্রাপ্তির উপায়, ডাটা এন্ট্রিসহ ইন্টারনেটে আয়ের কাজগুলো হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ শেষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিয়মিত আয় করতে পারবে। কোর্স-পরবর্তী সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। ক্লাস : প্রতি শুক্র ও শনিবার। ভর্তির জন্য যোগাযোগ করুন : ৪০ নর্থ রোড, ভূতের গলি, ধানমণ্ডি ঢাকা। ফোন : ০১৯১৬২৭৮০৫৮, ০১৯৩২৪৪৬৯২৬।

Thursday, January 13, 2011

ব্লগিং করে টাকা আয়ের প্রথম শর্ত : অভ্যাস বদলে ফেলুন

ব্লগিং করে টাকা আয়ের প্রথম শর্ত : অভ্যাস বদলে ফেলুন

by আমিনুল ইসলাম সজীব

ইন্টারনেটে ব্লগিং করা এখন কোটি কোটি মানুষের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে এই লক্ষ-কোটি ব্লগারদের একেক জনের উদ্দেশ্য একেক রকম। এরা সবাই কিন্তু ব্লগিং করছেন। কেউ ওয়ার্ডপ্রেসে, কেউ ব্লগস্পটে, কেউ বা আবার জুমলায়। কেউ নিজস্ব হোস্টিং ও ডোমেইনে, কেউবা আবার ফ্রি-তেই সব মেরে দিচ্ছেন। সবার কাজ এক হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। আজ আমি আলোচনা করবো আপনার ব্লগের উদ্দেশ্য বা মোটিভেশন নিয়ে।

এমনও ব্লগার আছেন যারা ২৪ ঘণ্টার ২০ ঘণ্টাই ব্লগিংয়ের পেছনে ব্যয় করেন অথচ ব্লগ থেকে তাদের মাসিক আয় এক পয়সাও না। অন্যদিকে আরেক শ্রেণীর ব্লগার আছেন যারা চাকরীও করছেন আবার পার্ট টাইম ব্লগিংও করছেন। আর মাস শেষে ব্লগিংয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত টাকা গুনছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যতিক্রমটা কেন?

অনেকের ব্লগিং ভালো লাগে তাই ব্লগ করেন। অনেকে এ থেকে টাকা আয় করতে চান তাই ব্লগ লিখেন। আর অনেকে এক লাফে গাছে উঠতে চান, তাই কম্পিউটার আর ইন্টারনেট নিয়ে ব্লগ খুলেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, আপনি কোন উপরের শ্রেণীতে পড়েন?

আমাদের দেশে “ঘরে বসে ইন্টারনেটে ডলার আয় করুন” নামের এক প্রকার রঙচটা বিজ্ঞাপনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট আর ব্লগ থাকলেই কিন্তু আয় করা যায় না। আর দশটা আয়ের ধান্ধার মতোই ব্লগিংয়েও দিতে হয় প্রচুর সময়, শ্রম আর সাধনা। অন্যথায় আপনার ব্যর্থতার গ্যারান্টি দিতে পারি আমি।

এবারে আসুন মূল বিষয়ে আসি। আপনি ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আমি প্রথমে একটি প্রশ্ন করবো আপনাকে। আপনি কি ব্লগ বা ব্লগিং ভালোবাসেন? (অবশ্যই আমি সামহোয়্যার ইন বা প্রথম আলো ব্লগের কথা বলছি না) যদি ব্লগিংয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য টাকা আয় করা হয়, তাহলে ব্যর্থতা আপনার জন্য সামনে অপেক্ষা করছে।

এবারে আসুন জেনে নেয়া যাক মূলমন্ত্রটি। সবাই সবকাজে ভালো করতে পারে না। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা আয় করার বদলে শুধু ব্লগিংকে ভালোবাসতে না পারেন, তাহলে এ পথ ছেড়ে দেয়াই আপনার জন্য উত্তম। শুধু শুধু শ্রমের অপচয় করে লাভ কী? তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সত্যিকারের Passionate ব্লগার হয়ে থাকেন, ব্লগিংয়ের প্রতি, ব্লগের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রতি আপনার যদি অশেষ আগ্রহ থাকে, তাহলে ব্লগিং করে টাকা আয়ের ধান্ধা করা আপনাকে সাজে।

পরিসংখ্যান করলে দেখতে পাবেন বাংলাদেশে মোট ব্লগারের সংখ্যার অনুপাতে সত্যিকারের সফল ব্লগার (যেমন জিন্নাত ভাই) এর সংখ্যা অত্যন্ত কম। এর কারণ কী জানেন? আমরা (বাঙালীরা) মজা করে সময় কাটাতে ভালোবাসি।

হ্যাঁ, আমি সামহোয়্যার ইন কিংবা প্রথম আলো ব্লগের কথাই বলছি। বাংলাদেশে কোনো ফুলটাইম ব্লগার নেই (আমার ধারণা)। সুতরাং, পড়ালেখা কিংবা চাকরী-বাকরীর ফাঁকেই আপনাকে ব্লগে সময় দিতে হয়। যদি সত্যি সত্যিই সাফল্যের মুখ দেখতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই ব্লগিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের সিংহভাগ “ইংরেজি ব্লগসমূহে” দিতে হবে। আমি বাংলা ব্লগিংয়ে নিরুৎসাহিত করছি না। অভ্যাস বদলে ফেলুন বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে, আপনাকে আরো অনেক অনেক অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে ব্লগিংয়ে।

একটা কথা মনে রাখবেন। ব্লগিং হাজার হাজার মানুষের শখের কাজ হলেও যখন এর থেকে আপনি টাকা আয়ের চিন্তা-ভাবনা করবেন, তখন এটি আপনার ব্যবসা।

হ্যাঁ, ব্লগ একটি ব্যবসাকেন্দ্র; যার পেছনে আপনাকে দিতে হবে প্রচুর সময়, শ্রম, সাধনা, পরিকল্পনা এবং ধৈর্য্য। আজ ব্লগ খুলে তিন মাস পর যদি “টাকা আসে না কেন” এই প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনার ধৈর্য্য নেই। ব্লগিং আপনাকে দিয়ে হবে না।

তাহলে আসুন জেনে নিই এই ব্লগিং ব্যবসার পেছনে আপনাকে কোন কোন উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

  • ব্লগকে সবসময় মাথায় রাখুন। আপনি যে বিষয়ের উপর ব্লগিং করছেন, সে বিষয়ের উপর যতবেশি সম্ভব স্টাডি করুন। চেষ্টা করুন আপনার ব্লগের পাঠকদের (যদি কেউ নাও থাকে, তবুও) নিত্যনতুন আপডেট উপহার দিতে।
  • ভুলেও নিজের একমাত্র ব্যক্তিগত ব্লগের উপর নির্ভরশীল হবেন না। আপনি কোনো সেলিব্রিটি নন যে মানুষ আপনার নিত্যদিনের ঘটনা পড়তে আগ্রহী হবে।
  • ব্লগ মার্কেটিংয়ে সর্বোচ্চ (utmost) ধৈর্য্যের পরিচয় দিন। যত বেশি সম্ভব প্রচার করুন আপনার ব্লগের। সোশাল মিডিয়া টুইটার এবং ফেসবুক এক্ষেত্রে আপনার বেশ উপকারে আসবে।
  • বাংলা ব্লগে প্রদত্ত সময় কমিয়ে ইংরেজি দুনিয়ায় প্রবেশ করুন। আমরা জোর করে বাংলা বাংলা বলে চিৎকার করলেও আপাতত কোনো লাভ হবে না। পৃথিবী এখনো ইংরেজির হাতেই। ইংরেজি দুনিয়া মানে আপনার ব্লগের নির্ধারিত টপিকের উপর অন্যান্য ব্লগগুলোও নিয়মিত পড়তে। এছাড়াও সেসব ব্লগারদের প্রতি ব্লগিং সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
  • যারা ইংরেজি ভালো জানেন না, তারা অবশ্যই ইংরেজি ব্লগ বেশি বেশি করে পড়ুন। তবে সর্বক্ষেত্রেই “ব্যক্তিগত ব্লগ” এড়িয়ে চলুন। কারণ, ব্যক্তিগত ব্লগে মানুষ যেভাবে খুশি সেভাবেই লিখে। নিয়ম-কানুনের পরোয়া করে না।
  • আর যদি ভালো ইংরেজি জেনেও থাকেন, তবুও ইংরেজি ব্লগগুলোতে বিচরণ (explore) করুন। মনে রাখবেন, ব্লগিং জগতেরও নিজস্ব কিছু ভাষা আছে। (বলতে পারবেন, btw বলতে কী বোঝায়?) এরকম অসংখ্য ব্লগিং ভাষার তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এগুলো বুঝলে আপনি আপনার লেখাকে অসাধারণ রূপ দিতে পারবেন। আর না বুঝলে আপনি হয়তো আপনার পাঠকের মন্তব্য বুঝতে ব্যর্থ হবেন। উদাহরণঃ আমার ব্লগের পাঠককে যদি আমি btw এর অর্থ জিজ্ঞেস করি, তিনি আমাকে একেবারে নতুন ব্লগার ভেবে আর আমার ব্লগে আসতে উৎসাহ বোধ করবেন না।
  • একটা কথা মনে রাখবেন, সবাই আপনার ব্লগে আসবে নতুন কোনো তথ্যের জন্য। তাই মনে যা চাইলো তাই না লিখে পাঠকদের চাহিদার কথা মাথায় রাখুন।
  • লেখায় স্মার্টনেস এবং রসিকতা আনার চেষ্টা করুন। পাঠক যদি আপনার লেখায় উপকারী তথ্য পায়, তাহলে সে অবশ্যই আবার আসবে। আর যদি লেখা পড়ে একই সঙ্গে উপকৃত হয় আর মজাও পায়, তাহলে সে আপনার ব্লগের আরএসএস ফিডে নিশ্চিত সাবস্ক্রাইব করবে (নিয়মিত পাঠক হয়ে যাবে)।
  • আপনার ব্লগের একই টপিকের অন্যান্য ব্লগারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে আপনারই উপকার হবে। একই সঙ্গে অন্যের ব্লগে মন্তব্য করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

…এবং পড়ুন

যখন আপনি আন্তর্জাতিক ব্লগিং দুনিয়াতে প্রবেশ করেছেনই, আপনাকে এখন প্রচুর পড়তে হবে। ব্লগ ডিজাইন নিয়ে পড়তে হবে, ব্লগ কীভাবে আরো উন্নত ও জনপ্রিয় করা যায় এসব বিষয় জানতে হবে। আর এসবের জন্য বিখ্যাত সব রিসোর্স হলোঃ

আরো অসংখ্য রিসোর্সের খোঁজ পাবেন গুগলে সার্চ করলে। প্রথম প্রথম ইংরেজি পড়তে ভালো নাও লাগতে পারে। মনে রাখুন, আপনিও কিন্তু ইংরেজিতে ব্লগিং করছেন। বিখ্যাত সেসব ব্লগ পড়ার ফলে আপনি দু’দিক থেকে উপকৃত হচ্ছেন। এক, আপনি মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করা বিশ্বব্যাপী পরিচিত এবং এক নম্বর ব্লগারদের (Darren from ProBlogger, the world’s number one successful blog) দেয়া টিপস জানতে পারছেন। দুই, তাদের ইংরেজি লেখার ধরনও শিখতে পারছেন।

আশা করি উপরে বর্ণিত পরামর্শগুলো আপনাদের ব্লগিং ব্যবসায় কাজে লাগবে। কিছু কিছু কথা সোজাভাবে এবং খানিকটা উত্তেজিত ভাষায় বলার জন্য দুঃখিত। একটা ব্লগ খুলে বসলেই টাকা আসবে না। ব্লগ খুলবেন, আর ব্লগিং করবেন বাংলা কমিউনিটি ব্লগে, এমনটা হলে সাফল্যের আশা করা বৃথা। তাই নিজের অনলাইন বিহেভিয়রে পরিবর্তন আনুন। দেখবেন কীভাবে সবকিছু অনুকূলে চলে আসবে।

এভাবে বহুদিনের পরিশ্রম, সাধনা ও অধ্যবসায় আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। (তখন কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখবেন ;))

Source: www.jinnatulhasan.com

Wednesday, January 12, 2011

এলার্টপে – সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি

এলার্টপে – সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি

লিখেছেন nishu
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে শনিবার, 27 নভেম্বর 2010

ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ পদ্ধতি হচ্ছে “পেপাল”। তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হচ্ছে বাংলাদেশে এর কোন সার্ভিস নেই এবং কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে না। আর এজন্য সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদেরকে। পেপাল না থাকার কারণে অনেক রাস্তা ঘুরিয়ে, বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ দিয়ে সবশেষে টাকা হাতে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পেপালের বিকল্প না খোজে আমাদের আর কোন উপায় থাকে না। পেপালের প্রধান বিকল্প হিসেবে “মানিবুকার্স” নিয়ে এর আগে আমরা “কম্পিউটার জগৎ” এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম। এটি পেপালের মতই একটি সহজ ও জনপ্রিয় পেমেন্ট পদ্ধতি। তবে মানিবুকার্সের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এর কোন সার্ভিস নেই, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোন ওয়েবসাইট বা সেদেশের কোন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে মানিবুকার্সের মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়া যায় না। সুতরাং মানিবুকার্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যার সমাধান পুরোপুরি হচ্ছে না। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ফি পাশ কাটিয়ে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা পেতে চান তাদের জন্য মানিবুকার্স পেপালের ভাল বিকল্প নয়।

এই পর্বে তৃতীয় আরেকটি পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যা বাংলাদেশীদের জন্য একটি চমৎকার সমাধান বলা যায়। পদ্ধতিটি হচ্ছে এলার্টপেwww.AlertPay.com)। এটি একটি কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালে মাত্র ৬ জন কর্মচারী নিয়ে এলার্টপে যাত্রা শুরু করে এখন এটি ৭০ জনের অধিক কর্মচারী এবং ৪৫ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪,৫০০ নতুন ব্যাবহারকারী এলার্টপে সাইটের রেজিষ্ট্রেশন করছে। বিশ্বের ১৯০ টি দেশে এর সার্ভিস রয়েছে, যাতে ২৩টি মূদ্রায় অর্থ লেনদেন করা যায়। এলার্টপে ৪৬টি দেশে আঞ্চলিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকে। (


একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া:
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট রয়েছে – Personal Starter, Personal Pro এবং Business। একাউন্টগুলোর যেকোন একটিতে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট পরিবর্তন করা যায়। তিনটি একাউন্টের সাহায্যই ইন্টারনেটে নিরাপদে কেনাকাটা করা এবং বিনামূল্যে অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এগুলো হচ্ছে -

১) Personal Starter:
এই ধরনের একাউন্টের একমাত্র বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করতে কোন ধরনের ফি দিতে হয় না। তবে এই ধরনের একাউন্টে কেউ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিলে তা পাওয়া যায় না। আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি টাকা গ্রহণ করা যায় না এবং সকল পেমেন্টসহ সর্বমোট ২,০০০ ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।

২) Personal Pro:
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ধরনের একাউন্টে সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টাকা গ্রহণে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এক্ষেত্রে অন্য একজন এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করলে ২.৫% + ০.২৫ ডলার ফি দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী টাকা পাঠালে ফি এর পরিমাণ হয় ৪.৯% + ০.২৫ ডলার। এই ধরনের একাউন্টের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করলে নিজের ওয়েবসাইটে এলার্টপে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবে।

৩) Business:
এই একাউন্টটির সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এই একাউন্টের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে একাধিক ব্যাবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। আর টাকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে Personal Pro একাউন্টের মতই সমপরিমাণ ফি দিতে হয়।

এলার্টপে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি পেপাল বা মানিবুকার্স মতই। এজন্য প্রথমে একাউন্টের ধরন নির্ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। পিন নাম্বারটি পাসওয়ার্ডের মতই একটি গোপন নাম্বার যা অর্থ লেনদেনের সময় প্রয়োজন পড়বে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একাউন্টটি টাকা গ্রহণের উপযোগী হবে। তবে টাকা নিজের ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডে পাঠাতে একাউন্টটিকে Verify করতে হবে। এজন্য Become AlertPay Verified নামক একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যাদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আছে তারা এর মাধ্যমেও Verify হতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার যাচাই করা হয়।

এলার্টপে যেভাবে কাজ করে তা নিচের চিত্রে মাধ্যমে দেখানো হল।

দেশে টাকা আনার উপায়:
এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হল – চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার।

১) চেক:
এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ৪ ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারেবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তোলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনামূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে।

২) ক্রেডিট কার্ড:
যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। আমারদের দেশে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের Payoneer ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। তারাও এই কার্ডে সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে ১ থেকে ২ ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর Payoneer সাইটে লগইন করে দেখতে হবে কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ৫ ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করে – যেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়। যাদের Payoneer মাস্টারকার্ড নেই তারা www.vworker.com সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাস্টারকার্ডটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংক থেকে।

৩) ব্যাংক ট্রান্সফার:
এলার্টপে থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র ০.৫ ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ১ ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন।

৪) ব্যাংক ওয়্যার:
যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT BIC যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

প্রধান প্রধান আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এলার্টপে এখনও ব্যপকভাবে সমাদৃত হয়নি। তবে 99Designs, Magento, Microworks এর মত সাইট, PTC সাইট এবং BUX সাইটগুলোতে ব্যাপকভাবে এলার্টপে এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অর্থ লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশী প্রচুর ফ্রিল্যান্সার ইতিমধ্যে এলার্টপে এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে টাকা দেশে নিয়ে আসছেন। এলার্টপে সাইটের একটি ভাল সার্ভিস হচ্ছে এর সাপোর্ট সেন্টার যার মাধ্যমে কোন সমস্যায় পড়লে খুব দ্রুতই সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষ করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন, ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড যাচাই এ কোন সমস্যায় পড়লে সাপোর্ট সেন্টার মাত্র কয়েকদিনেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেয়। এইসকল সুবিধার কারণে এলার্টপে সার্ভিসটির প্রসার দিন দিন বাড়ছে।

Source: www.blog.techtodaybd.com

EARN BY INTERNET (FULL TRAINNING COURSE)

ইন্টারনেটে প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য

ইন্টারনেটে প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক খবর, টিপস অ্যান্ড ট্রিকস, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সফটওয়্যারসহ কম্পিউটারের সব যন্ত্রাংশের বাজারমূল্যের তথ্য রয়েছে অনলাইনটিপস২৪ ডটব্লগস্পট ডট কম সাইটে। এছাড়া ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের কৌশল জানতে এই সাইটে রয়েছে বিভিন্ন তথ্য। ওয়েব : www.onlinetips24.blogspot.com
(http://www.a2zbd.info/)

Sunday, January 9, 2011

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং - সি নিউজ - জাকারিয়া চৌধুরী

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং - সি নিউজ - জাকারিয়া চৌধুরী

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০১০

একটা সময় ছিল যখন পড়ালেখা শেষ করে একজন তরুনকে একটি চাকুরীর জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত। কিন্তু চাকুরী যেন সোনার হরিণ এর মত অধরা থেকে যেত। যদিওবা চাকুরী পাওয়া গেল কিন্তু থাকত না অর্জিত শিক্ষার সাথে কোন সম্পর্ক। পাওয়া যেত না যোগ্যতার উপযুক্ত সম্মান। আর এখন তরুনরা একটা চাকুরীর জন্য বসে নেই, নিজেরাই খোঁজে নিয়েছে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চাকা। ...ভাবছেন স্বপ্ন দেখাচ্ছি, সত্যি করে বলতে কি ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর বদৌলতে ঠিক এরকম একটা ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে এরকম কয়েকশত অনলাইন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করে থাকেন। এদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা পড়ালেখা শেষ করে কোন চাকুরীতে যোগ না দিয়ে সরাসরি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। অনেকে আবার অন্যদের জন্য কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করছেন। কিন্তু ব্যাপারটা বেশিরভাগের কাছে পরিষ্কার না হওয়ায় আউটসোর্সিং এর বিশাল বাজারে ভারত বা পাকিস্তানের মত আমরা সেইভাবে প্রবেশ করতে পারিনি। তাই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আমাদের এই সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।

আউটসোর্সিং:
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কি এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উৎপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন - ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিকাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেইন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপিনস, রাশিয়া, পাকিস্থান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়শিয়া, মিশর এবং আরো অনেক দেশ।

ফ্রিল্যান্সিং:
এবার দেখে নেয়া যাক, ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কি এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার স্বীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সাথে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যেকোন জায়গাতে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা কেমবলমাত্র লেখালেখি করা।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস:
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সারের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সাথে সাথে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এসময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।

নিচে কয়েকটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, তাদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার (www.GetAFreelancer.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোট প্রোভাইডার বা ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে সাড়ে আট লক্ষের উপর।
  • সাইটে প্রতিদিন দুইশত এর উপর নতুন প্রজেক্ট আসে এবং সবমিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে নয় হাজার প্রজেক্ট বিড করার জন্য উন্মুক্ত থাকে।
  • সাইটটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট অর্থের ১০%।

সুবিধাসমূহ:

  • গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। প্রতি মাসে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধ করে গোল্ড মেম্বার হওয়া যায়।
  • নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই বিড করতে পারে। ফলে এই সাইটে প্রথম কাজ পেতে একজন ফ্রিল্যান্সারকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না।

অসুবিধাসমূহ:

  • এখানে এস্ক্রোতে টাকা জমা রাখা বাধ্যতামূলক নয়, যা সম্পূর্ণভাবে বায়ারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
  • এই সাইটে বিড করার ক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একজন সাধারণ মেম্বার প্রতি মাসে ১৫ টি প্রজেক্টে বিড করতে পরে আর গোল্ড মেম্বারদের জন্য এই সংখ্যা হচ্ছে ১৬০টি।


স্ক্রিপ্টল্যান্স (www.ScriptLance.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এই সাইটে মাত্র তিন হাজার সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অন্তত একটি কাজ সম্পন্ন করেছে।
  • প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি নতুন প্রজেক্ট আসে এবং এই মূহুর্তে মোট উন্মুক্ত প্রজেক্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৮০০ টি।
  • এখানে সার্ভিস চার্জ অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে কম, মোট অর্থের ৫%।

সুবিধাসমূহ:

  • সার্টিফাইড প্রোগ্রামারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ হচ্ছে ২.৫%। প্রতি মাসে মাত্র ২৫ ডলার পরিশোধ করে সার্টিফাইড প্রোগ্রামার হওয়া যায়।
  • এই সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ফোরাম রয়েছে।

অসুবিধাসমূহ:

  • গেট এ ফ্রিল্যান্সার সাইটের মত এখানেও এস্ক্রোতে টাকা জমা রাখা বাধ্যতামূলক নয়, যা বায়ারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।


রেন্ট-এ-কোডার (www.RentACoder.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এই সাইটের ফিচার গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার এবং স্ক্রিপ্টল্যান্স থেকে অনেকটা ভিন্ন। যদিও এই সাইটিতে নতুনদের প্রথম কাজ পাওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য কিন্তু এর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের কাজে খুব জনপ্রিয়।
  • রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে।
  • এই সাইটে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ বিড করার জন্য উন্মুক্ত হিসেবে পাওয়া যায়।
  • সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হচ্ছে মোট অর্থের ১৫% এবং বোনাস প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই চার্জ হচ্ছে ১০%। উল্লেখ্য, বোনাস প্রজেক্ট হচ্ছে সেই সব প্রজেক্ট যাতে বায়ারকে এস্ক্রোতে কোন অর্থ জমা রাখতে হয় না এবং কাজ শেষে কোডারকে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করে।

সুবিধাসমূহ:

  • এস্ক্রোতে অর্থ জমা রাখা এই সাইটে বাধ্যতামূলক। কাজ শুরুর পূর্বে বায়ার প্রজেক্টের সম্পূর্ণ অর্থ এস্ক্রোতে জমা রাখে, যা কাজ শেষে কোডারের অর্থ প্রাপ্তি শতভাগ নিশ্চিত করে।
  • এই সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সার ইচ্ছেমত যে কোন প্রজেক্টে বিড করতে পারে।
  • এই সাইটের নিয়মকানুন অন্য সাইটগুলো থেকে কিছুটা কঠিন, যা পরিশেষে বায়ার এবং কোডারের জন্য একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ প্রদান করে।

অসুবিধাসমূহ:

  • সাইটটির সার্ভিস চার্জ অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি।
  • অন্য সাইটের গোল্ড মেম্বার ফিচারের মত কোন সুবিধা এখানে নেই।
  • নতুনদের জন্য এই সাইটে আলাদা কোন সুবিধা নেই, ফলে প্রথম কাজ পাওয়াটা এই সাইটে তুলনামূলকভাবে সময়সাপেক্ষ।

ওডেস্ক (www.oDesk.com)
বৈশিষ্ট্য:

  • এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইটগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে প্রোভাইডারকে একটি প্রজেক্টে প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
  • ক্লায়েন্ট সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) এক বা একাধিক প্রোভাইডারকে নিয়োগ দেয়। অনেকক্ষেত্রে প্রজেক্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কাজ করতে হয়।
  • কাজ করার মূহুর্তে প্রোভাইডারের ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য প্রোভাইডারের কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার চালু রাখতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তার ডেস্কটপের স্ক্রিনশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠায়। ফলে ওই সময় সে কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই যাচাই করতে পারে।
  • এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% অর্থ কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়।

সুবিধাসমূহ:

  • যেহেতু প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য মূল্য পরিশোধ করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
  • এখানে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য মূল্য পরিশোধ করা হয়। ফলে যারা ঘন্টা ধরে কাজ করতে পছন্দ করে না তারাও এই সাইট থেকে কাজ করতে পারবে।

অসুবিধাসমূহ:

  • একটি প্রজেক্টে কাজ করতে প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সারকে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় অনলাইনে লগইন থেকে কাজ করতে হয়। ব্যাপারটা অনেকটা অফিসে বসে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করার মত, যা অনেক ফ্রিল্যান্সারের কাছে পছন্দ নয়।
  • কাজ করার সময় ওডেস্কের সফটওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রোভাইডারের কম্পিউটারের ডেস্কটপের ছবি বায়ারের কাছে পাঠায় যা একজন ফ্রিল্যান্সারের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করে।

অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ

অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রায় সকল ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোন ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা - কি নেই সাইটগুলোতে। অনলাইনে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ করুন। এখানে গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে এই মূহুর্তে (২০ নভেম্বর ২০০৮) যে ধরনের কাজ, যত সংখ্যায় পাওয়া যাচ্ছে তা উল্লেখ করা হল -

Programming
Website Development
PHP (913)
AJAX (297)

.NET (250)

Javascript (228)

C/C++ (194)

ASP (181)

XML (169)

Java (166)

Visual Basic (97)
Website Design (813)
Web Promotion (516)
SEO projects SEO (495)

Link Building (288)

Script Installation (162)

Joomla (151)

OsCommerce (146)

Website Security (72)
Graphics & Multimedia
Data Entry
Graphic Design (353)
Flash (322)

Photoshop (143)

Logo Design (134)

Video Services (75)

Banner Design (98)
Data Entry (410)
Data Processing (300)

Excel (45)
Writing
Marketing & Management
Copywriting (435)
Proofreading (129)

Translation (106)

Legal Advice (13)
Market Research (229)
Telemarketing (191)

Project Management (102)

Accounting/Bookkeeping (29)


অন্যদিকে আরেকটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যে সকল প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো। নিচের চার্টের মাধ্যমে নভেম্বর ২০০৮ তারিখে ওই সাইটে প্রাপ্ত কাজের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হল (বড় করে দেখতে ছবিটির উপর ক্লিক করুন) -



ফ্রিল্যান্সিং এ কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা ভালভাবে না জানার কারণে অনেকে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন না। নিচে এরকম কয়েকটি বিষয় আলোকপাত করা হল:

রেটিং (Rating) -
একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট কাজের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রোভাইডারকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং দেয়। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০ এবং সর্বনিম্ন রেটিং হচ্ছে ১। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় ১০ রেটিং পাওয়ার জন্য প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট পরিপূর্ণভাবে এবং দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা উচিত।

রেংকিং (Ranking) - একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সকল প্রোভাইডারের মধ্যে একজন নির্দিষ্ট প্রোভাইডারের অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। সাধারণত একজন প্রোভাইডারের গড় রেটিং এবং সে কত বেশি ডলারের কাজ করেছে তার উপর ভিত্তি করে রেংকিং নির্ধারণ করা হয়। রেটিং এর মত রেংকিংও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি।

ডেডলাইন (Deadline) - প্রত্যেক প্রজেক্ট শেষ করার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেডলাইন সময় থাকে। এই সময়ের পূর্বে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হয়। কোন প্রোভাইডার যদি ডেডলাইনের পূর্বে কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে বায়ার ইচ্ছে করলে তাকে কোন মূল্য পরিশোধ না করে সম্পন্ন কাজটি নিয়ে যেতে পারে।
উপরন্তু ক্লায়েন্ট সেই প্রোভাইডারকে একটি নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিতে পারে। তাই কোন প্রজেক্টের ডেডলাইন সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে কাজ শুরুর পূর্বেই বায়ারকে অনুরোধ করে বাড়িয়ে নেয়া উচিত।

মেডিএশন/আর্বিট্রেশন (Mediation/Arbitration) - একটি প্রজেক্ট চলাকালীন সময় বায়ার এবং প্রোভাইডারের মধ্যে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য মেডিএশন এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই পদ্ধতিতে সাইটের যথাযথ কতৃপক্ষ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং সমাধানের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।

এসক্রো (Escrow) - কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ অর্থ ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়।



অর্থ উত্তোলনের উপায়সমূহ

কাজ সম্পন্ন হবার পর প্রোভাইডারের পাওনা অর্থ ফ্রিল্যান্সিং সাইটের একাউন্টে জমা থাকে। মাসের শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে সর্বমোট অর্থ বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসা যায়। এখানে টাকা উত্তোলনের কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

Snail Mail Check
এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু এটি সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। মোট আয় যদি ১০০ ডলারের এর উপর হয় তাহলে চিঠির মাধ্যমে একটি চেক পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রতিবার টাকা উত্তোলনে খরচ পড়ে মাত্র ১০ ডলার। তবে চিঠি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর চেকটি আসবে ডলার-এ, তাই এটিকে টাকাতে রূপান্তর করতে হলে ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।


Bank to Bank Wire Transfer
টাকা উত্তোলনের একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা সরাসরি প্রোভাইডারের ব্যাংক একাউন্টে
এসে জমা হয়ে যায়। তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি - প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:

  • প্রোভাইডারের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা এবং ব্যাংকের SWIFT Code
  • ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংকের নাম যা অর্থ প্রেরণের জন্য মধ্যবর্তী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিতে পারেন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করে থাকে।
  • এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে যা ব্যাংকটির ওয়েবসাইট এ পাওয়া যেতে পারে। ব্যাংক এর সাইটে না পাওয়া গেলে Google এ সার্চ করে দেখতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA Routing Number ।


Payoneer Debit Card
উপরের দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card । সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে।
এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর সাইটির মাসিক ব্যবস্থাপনা ফি ৩ ডলার। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার + উত্তোলনকৃত অর্থের ৩%। এই কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটাও করতে পারবেন। এমনকি এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত আপনার কোন আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড থেকে আপনাকে টাকা পাঠাতে পারবে। পেওনার সাইট থেকে সরাসরি এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। এটি পেতে হলে ফ্রিল্যান্সিং যে কোন একটি সাইট (রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক) থেকে আবেদন করলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই কার্ডটি হাতে পাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আরো তথ্য:
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত আরো জানতে "ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প" নামক একটি বাংলা ব্লগ সাইট ভিজিট করতে পারেন। এই সাইটে নিয়মিতভাবে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা হয়। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের খবরও এই সাইটে পাওয়া যায়। সাইটির ঠিকানা হচ্ছে - www.FreelancerStory.blogspot.com

আরেকটি হচ্ছে "ফ্রিল্যান্স ফেস্ট" নামে একটি অনলাইন ফোরাম। ফোরামটি গঠন এবং পরিচালনা করছেন আমাদের দেশী কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এ আগ্রহী যে কেউ এই ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যেকোন ধরনের সমস্যা ও তার সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ফোরামটির ঠিকানা হচ্ছে - www.FreelanceFest.com

পাশাপাশি আপনি ইচ্ছে করলে "বিডিওএসএন আউটসোর্সিং" নামক গুগল গ্রুপে যোগদান করতে পারেন। এই গ্রুপের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সরাসরি ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। গ্রুপটির ঠিকানা হচ্ছে - http://groups.google.com/group/bdosn_outsourcing

শেষকথা:
বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। দেশের দক্ষ ও বেকার জনগোষ্ঠিকে জনশক্তিতে পরিণত করতে এটি হতে পারে একটি প্রধান নিয়ামক। তবে খেয়াল রাখতে হবে, প্রাথমিক অবস্থায় অনলাইনে কাজ পাওয়াটা সহজ নয়। প্রয়োজন ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা। কারণ এখানে আপনাকে বিভিন্ন দেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগীতা করে কাজ আনতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং যারা শুরু করতে চান তাদের হতে হবে আত্মবিশ্বাসী, প্রত্যয়ী ও সমসাময়িক তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত। সর্বোপরি নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষ।

Source: http://gournadi.com

Friday, January 7, 2011

গ্রাফিক রিভার থেকে আয় করুন ১০০%

গ্রাফিক রিভার থেকে আয় করুন ১০০%

কয়েক মাস পূর্বে আপনাদেরকে পাঁচটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে গঠিত এনভাটো (Envato) নামক একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। সেই লেখাতে ThemeForest.net নামক একটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। যারা ওই লেখাটি পড়েননি তাদের জন্য বলছি, থিম ফরেস্ট মার্কেটপ্লেসে একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ দক্ষ তাদের জন্য থিম ফরেস্ট হতে পারে একটি চমৎকার আয়ের ক্ষেত্র। কিন্তু ডিজাইনিং এ নতুনরা থিম ফরেস্ট সাইটে খুব একটি সুবিধা করতে পারবেন না। এই সাইটে অনেক বিচার বিবেচনা করে একটি ডিজাইনকে সাইটে প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়। তবে নতুনদের হতাশ হবার কিছু নেই, তাদের জন্য এনভাটোর রয়েছে আরেকটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস - গ্রাফিক রিভার (www.GraphicRiver.net)। এই গ্রাফিক রিভারের আদ্যোপান্ত নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।

গ্রাফিক রিভার সাইটটি দেখতে হুবহু থিম ফরেস্ট সাইটের মত। প্রকৃতপক্ষে এনভাটোর সকল মার্কেটপ্লেসের বাহ্যিক দিক এবং আভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুন প্রায় একই রকম। পাঁচটি মার্কেটপ্লেসের যে কোন একটিতে রেজিষ্ট্রেশন করে সবগুলো সাইটের মেম্বার হওয়া যায়। গ্রাফিক রিভার মার্কেটপ্লেসটিকে নতুনদের জন্য উপযোগী বলছি তার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এখানে আপনাকে সাইটের সম্পূর্ণ টেম্পলেট ডিজাইন করতে হবে না, বরং একটি সাইটের বিভিন্ন গ্রাফিক্স আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। গ্রাফিক্স বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে - ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড, ব্যানার, বাটন, আইকন, রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন ফরম, বিজনেস কার্ড, নিউজলেটার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন।
undefined
একটি ডিজাইন তৈরি করে সাইটে জমা দেবার পর সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি প্রথমে যাচাই বাছাই করে দেখে নেয় কাজটি মানসম্মত কিনা। ডিজাইনটি সাইটের নির্দেশমত তৈরি করা হলে, কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে ডিজাইনটির একটি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ডিজাইনের ধরণ ও কাজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে দাম সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এরপর ডিজাইন বিক্রির ৪০% থেকে ৭০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হয়। নতুনদেরকে ৪০% অর্থ দেয়া হয় যা বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে ৭০% এ উত্তীর্ণ হয়। প্রথম অবস্থায় দাম শুনতে কম মনে হলেও আসলে একটি ডিজাইন একাধিক ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রির সুযোগ রয়েছে। তাই ১ ডলার মূল্যের একটি সামান্য ব্যানার যদি ৪০ থেকে ৫০ বার বিক্রি হয় তাহলে পরিশেষে মোট দাম নেহায়েত কম হয় না। এই ধরনের ছোটখাট কাজ করতে একজন নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের এক দিনের বেশি লাগার কথা নয়।
সাইটের নেভিগেশন বা ব্যবহার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, সরল এবং পরিকল্পিতভাবে সাজানো। সাইটের বামদিকের কলামের শুরুতেই রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ যাতে ক্লিক করে ওই বিভাগের সকল ডিজাইন দেখা ও কেনা যায়। এখানে মূল বিভাগগুলো হচ্ছে - Graphics, Design Templates, Texture, Vectors, Add-ons, Isolated Objects এবং Icons । Graphics বিভাগে রয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড, বাটন, ফরম, ব্যানার এবং একটি ওয়েবসাইটকে সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। Design Templates বিভাগে রয়েছে বিজনেস কার্ড, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহণকারী স্টেশনারী উপকরণের টেম্পলেট, ফ্লাইয়ার, রেজ্যুমে, ব্রুশিয়র, নিউজলেটার ইত্যাদি। Texture বিভাগে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বস্তু যেমন কাঠ, কাগজ, পাথর, প্রকৃতি, কনক্রিট, মেটাল, তরলবস্তু, ফেব্রিক ইত্যাদির ছবি। এই ছবিগুলো সাধারণত একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Vector বিভাগে পাওয়া যায় কার্টুন ক্যারেক্টার ও বিভিন্ন বস্তুর ভেক্টর ছবি যা সাধারণত এডোব ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি করা হয়। Add-ons বিভাগে রয়েছে ফটোশপ এবং ইল্যাস্ট্রেটরের বিভিন্ন এ্যাকশন, ব্রাশ, স্টাইল, শেপ, টেক্সচার এবং পেটার্নের কালেকশন। Isolated Objects বিভাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুর গ্রাফিক্স পাওয়া যায়। সর্বশেষ Icon বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া আইকনের সমাহার যা কম্পিউটারের ডেস্কটপ সাজাতে বা একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত হয়। মোট কথা, গ্রাফিক রিভার সাইটের এই অসংখ্য বিভাগের মধ্য থেকে নিজের ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

ওয়েবসাইটের বামদিকের কলামে বিভাগের পর আরও যেসকল উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে সেগুলো হল - Author Program, Referral Program, Asset Library, Forums এবং Blog । ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে Author Program অংশে সাইটের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর একটি ছোটখাট কুইজে অংশগ্রহণ করে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। কুইজের উত্তরগুলো "হ্যাঁ" এবং "না" এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিয়মকানুন ভালভাবে পড়ে নিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব। ডিজাইনার না হয়েও এই সাইট থেকে আয় করা সম্ভব, আর তা হচ্ছে Referral Program এর মাধ্যমে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসের পাঁচটি সাইটের যে কোন একটিতে একজন নতুন ক্রেতাকে নিয়ে আসলে, ওই ক্রেতা সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ সাইটে ডিপোজিট বা জমা করবে তার ৩০% আপনি পাবেন। কোন ডিজাইন কেনার পূর্বে এই সাইটে সর্বনিম্ন ২০ ডলার ডিপোজিট করতে হয়। অর্থাৎ একজন নতুন ক্রেতার মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ৬ ডলার থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ডিজাইনে যদি কোন ধরনের ছবি সংযোগের প্রয়োজন হয় তাহলে Asset Library থেকে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটে কপিরাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়। তাই অন্য যে কোন সাইট থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা ডিজাইনের সাথে সরাসরি সংযোগ করতে পারবেন না। এর জন্য হয় ছবিটি কিনতে হবে অথবা ছবির মালিকের যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ঝামেলাবিহীণ হচ্ছে সাইটির এ্যাসেট লাইব্রেরী থেকে ছবি সংগ্রহ করা।
সাইটের নিয়মকানুন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য Forums অংশে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর এনভাটোর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ব্লগে পাবেন গ্রাফিক রিভার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার খবর এবং প্রতিমাসে একটি গ্রাফিক্স বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুযোগ। গ্রাফিক রিভার সাইটে এই মূহুর্তে আইকন তৈরির একটি প্রতিযোগীতা চলছে যাতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০০ ডলার করে পুরষ্কার দেয়া হবে।
ওয়েবসাইটে লগইন করার পর উপরের অংশে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিংক পাওয়া যায়, এগুলো হচ্ছে - Account, Bookmarks, Earning, Upload এবং Deposit । Account অংশটি আরো কয়েকটিভাগে বিভক্ত - Profile, Portfolio, Downloads, Earning, Statements এবং Edit । আপনার Profile এবং Portfolio অংশটি যেকোন মেম্বার দেখতে পারবে। Profile অংশে আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার ডিজাইনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারে। আপনি যে সকল ডিজাইন তৈরি করবেন তা Portfolio অংশে প্রদর্শন করা হবে। আপনি যদি অন্য কারো ডিজাইন কিনে থাকেন তাহলে Download অংশ থেকে তা ডাউনলোড করতে পারবেন। Earning অংশে কোন মাসে কত আয় করলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দেখতে পাবেন এবং এই অংশ থেকে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। Statement অংশে সাইট থেকে আপনার আয়/ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ পাবেন।

ডিজাইন তৈরি করার নিয়ম:
গ্রাফিক রিভারের জন্য ডিজাইন তৈরি করার সময় অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল -

* ডিজাইনের প্রত্যেকটি উপাদানকে আলাদা আলাদা লেয়ারে তৈরি করুন।
* দুই বা ততোধিক লেয়ারকে মার্জ বা এক লেয়ারে পরিণত করবেন না।
* লেয়ারগুলোকে সুবিন্নস্ত রাখার জন্য গ্রুপ ব্যবহার করুন। ধরা যাক আপনি কয়েক ধরনের বাটনের একটি সেট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে একই ধরনের বাটনকে একই গ্রুপে রাখতে পারেন।
* লেয়ারে বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করলে তা কখনও রেস্টারাইজ করবেন না।
* লেয়ার এবং গ্রুপের অর্থবহ নামকরণ করুন।
* সকলের কম্পিউটারে থাকে এমন ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমন - Arial, Tahoma, Times New Roman, Verdana ইত্যাদি। আর যদি অন্য কোন নতুন ফন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ওই ফন্টটি কোন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। বিনামূল্যে ফন্ট সংগ্রহের জন্য www.dafont.com সাইটে ভিজিট করতে পারেন। বিনামূল্যে পাওয়া যায় ফন্টের ক্ষেত্রেও তার উৎস উল্লেখ করতে হবে।
* কোন কারণে আপনার ডিজাইনটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার কারণ ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এক্ষেত্রে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে আবার ডিজাইনটি জমা দিতে পারবেন।
* কোন ডিজাইন যদি সাইটের অন্য আরেকজনের ডিজাইনের সাথে মিলে যায় তাহলেও কর্তৃপক্ষ আপনার ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। তাই যে কোন ডিজাইন তৈরি করার সময় তাতে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন।
ডিজাইন জমা দেবার নিয়ম:
ডিজাইন তৈরি করার পর তা জমা দিতে সাইটের উপরের অংশ থেকে Upload নামক লিংকে ক্লিক করুন। ডিজাইন জমা দেবার পূর্বে কুইজে অবশ্যই উত্ত্বীর্ণ হতে হবে। এরপর Upload অংশে প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য Instructions, New BETA Upload এবং Old Style Upload নামক তিন ধরনের বাটন দেখতে পাবেন। প্রথমে Instruction অংশটি ভালভাবে পড়ে নিন এবং New BETA Upload বাটনে ক্লিক করে আপলোড শুরু করুন। এই অংশে আপলোড করতে সমস্যা হলে Old Style Upload বাটনে ক্লিক করুন। Upload করার নিয়মগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ -

* প্রথমেই ডিজাইনটির একটি ভাল নাম এবং তার বর্ণনা লিখুন। ডিজাইনটিতে কোন ছবি বা ফন্ট ব্যবহার করলে তা যে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে তার পূর্ণাঙ্গ লিংক এখানে দিন।
* এবার ফাইল আপলোডের পালা। সর্বমোট ৪ ধরনের ফাইল আপলোড করতে হবে। এগুলো হল -
1. Image Preview: ডিজাইনটির ৫৯০ পিক্সেল প্রস্থের একটি JPG ছবি এই অংশে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন উচ্চতা হতে পারে।
2. Thumbnail: ডিজাইনটির ৮০ x ৮০ পিক্সেলের একটি ছোট JPG ছবি দিতে হবে।
3. High Res JPG: ডিজাইনটির মূল মাপের একটি উঁচু রেজুলেশনের JPG ছবি দিতে হবে। Vector এর ক্ষেত্রে প্রস্থ সর্বনিম্ন ১২০০ পিক্সেল হতে হবে।
4. Main File(s): এরপর ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের সকল ফাইলকে ZIP করে দিতে হবে। কোন ক্রেতা ডিজাইনটি কেনার পর এই ফাইলটিকেই ডাউনলোড করবে।
* Category: ডিজাইটনটি সুনির্দিষ্ট কোন বিভাগে অন্তর্ভূক্ত তা উল্লেখ করুন।
* Image Resolution: ডিজাইনটিকে কত রেজুলেশনে তৈরি করেছেন তা উল্লেখ করুন।
* Layered?: ডিজাইনে বিভিন্ন লেয়ার থাকলে Yes সিলেক্ট করুন।
* Minimum Application Version: ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের কোন ভার্সন ব্যবহার করেছেন তা উল্লেখ করুন। গ্রহণযোগ্য ভার্সনগুলো হচ্ছে - CS, CS2, CS3 ও CS4 ।
* Tag অংশে ডিজাইনটির যথাযথ ট্যাগ বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন যা সার্চ করার সময় কাজে লাগবে।
* Comments for the Reviewer: এই অংশটি হচ্ছে সাইটের কর্তৃপক্ষকে মেসেজ দেবার জন্য। আপনার তৈরিকৃত ডিজাইন সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে তা এই অংশের মাধ্যমে তাদেরকে জানাতে পারবেন।


undefined
সবশেষে আপলোড বাটনে ক্লিক করে কাজটি জমা দিন। জমা দেবার পর আপনার ডিজাইনটি কর্তৃপক্ষের লিস্টে কততম স্থানে রয়েছে তা দেখতে পাবেন। আপলোড করার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ডিজাইনটি যাচাই বাছাই করা হবে। ডিজাইনটি গ্রহণ বা বাতিল হলে তা আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

আয়ের অর্থ উত্তোলনের জন্য এই সাইটে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে - Paypal, Moneybookers এবং International Money Transfer (SWIFT) । নূন্যতম আয় ৫০ ডলার হলেই Paypal ও Moneybookers দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে নূন্যতম আয় হতে হবে ৫০০ ডলার।
গ্রাফিক রিভার তথা এনভাটো মার্কেটপ্লেসে নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে মেনে চলার কারণে এই সাইটগুলোতে সবসময় উন্নতমানের ডিজাইন পাওয়া যায়। আর হয়ত একারনেই ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলে মার্কেটপ্লেসে দুই লক্ষের উপর ব্যবহারকারী রয়েছে। একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারলে তার ফলাফল আপনি সাথে সাথেই পাবেন। মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যাদের ডিজাইন জমা দেবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি একশ ছাড়িয়ে যায়। আর ডিজাইন শেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে অন্যের ডিজাইন পর্যবেক্ষন করা। অন্য আরেকজনের ডিজাইন যদি দেখে দেখে হুবহু তৈরি করতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন দক্ষ ডিজাইনার হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। এভাবে চর্চা করতে থাকলে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যাবেন।
লেখক : রাকিব হাছান
http://prothom-aloblog.com