Friday, February 4, 2011

ইন্টারনেটে টাকা আয় কীভাবে করবেন

ইন্টারনেটে টাকা আয় কীভাবে করবেন
লিখেছেন Anwar hossen hemel » বৃহঃ জুলাই ১৫, ২০১০
http://forum.amaderprojukti.com

ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করা যায়। চাকরীর জন্য ধর্না দিতে হয় না, চাকরীক্ষেত্রের বিরূপ পরিবেশ মুখ বুজে মেনে নিতে হয় না, এখানে-ওখানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। ঘরে বসে নিজের সুবিধেজনক সময়ে কাজ করলেই চলে। দক্ষতা যত বেশি আয় তত বেশি, এই একটামাত্র নিয়মে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। অন্তত কাগজে কলমে। বাস্তবে আপনি কতটা করতে পারবেন সেটা আপনার ওপর। এখানে কিছু পদ্ধতির কথা পর্যায়ক্রমিকভাবে জানানো হচ্ছে।

প্রথমেই একটা কথা জানিয়ে রাখা ভাল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আয়ের সুত্র অন্য দেশ। কাজেই টাকা কিভাবে আপনার হাতে পৌছাবে সেটা ঠিক করে নিন। বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে টাকা গ্রহন করার বিধিনিষেধ থাকায় সহজ কাজটিও জটিল হয়ে দাড়াতে পারে। পে-পল (বিনামুল্যের এবং সহচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় এবং প্রচলিত পদ্ধতি) ব্যবহারের জন্য অন্যদেশে ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
পদ্ধতি-১ : বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক
সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় এই কাজের মাধ্যমে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর পরিমান ভিজিটর যায় এমন ওয়েব সাইট। ভিজিটর যত বেশি বিজ্ঞাপনের মুল্য তত বেশি (সংবাদপত্র কিংবা টিভি বিজ্ঞাপনের সাথে তুলনা করতে পারেন)। বিজ্ঞাপন আপনাকে খুজতে হবে না, অন্যরা আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেবে এবং ভিজিটর সেখানে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। আপনার ক্লায়েন্ট যেহেতু বিশ্বজুড়ে সেহেতু আপনার আয় তাদের তুলনায় বেশি হওয়া সম্ভব।
দক্ষতা : ধরে নেয়া হচ্ছে আপনার চালু ওয়েবসাইট রয়েছে। না থাকলে নিজে অথবা অর্থ ব্যয় করে তৈরী করে নিতে হবে। নিয়মিত সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। কাজেই অন্তত সাধারন পর্যায়ের এইচটিএমএল জানতে হবে। যদি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করতে হয় তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন জানা থাকলে খরচ কমবে।
ব্যবসা শুরুর খরচ : যেহেতু বিপুল পরিমান ভিজিটর আপনার লক্ষ্য সেহেতু নিজস্ব ডোমেই-হোষ্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনার খরচের তালিকায় থাকবে ওয়েব পেজ তৈরী, ডোমেইন নেম (অনেক ক্ষেত্রেই হোষ্টিং এর সময় বিনামুল্যে পাওয়া যায়) এবং হোষ্টিং খরচ। বিশ্বের সেরা হোষ্টিং সার্ভিসের জন্য খরচ মোটামুটি ৫০ ডলার। এছাড়া যে কম্পিউটার ব্যবহার করবেন সেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার খরচের সাথে যোগ হবে। খুব বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার জন্য দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার সবচেয়ে বড় সুবিধে, অফিসের জন্য খরচ নেই।
জনবল : আপনি একাই এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। তবে দুচারজন সঙ্গিসাথি সবসময়ই বড় কাজের সহায়ক। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথেসাথে জনবল বাড়তে পারে।
ই-বিজনেস পদ্ধতি : আপনাকে যেহেতু লেনদেনের এবং যোগাযোগের কাজ পুরোটাই অনলাইনে করতে হবে সেহেতু ই-বিজনেসের নিয়মকানুন জানতে হবে। খুব সহজেই ইন্টারনেট খুজে এসব তথ্য জেনে নিতে পারেন।
যেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন : যেহেতু আপনি বড় আকারের ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেহেতু যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে সেটি কাজের জন্য উপযোগি কিনা যাচাই করে নেয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী জটিল এবং দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে (বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার সফটঅয়্যারগুলি নিজেই বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন পেজে দেখানোর জন্য সাজিয়ে দেয়)।
সার্ভারে কতটুকু যায়গা প্রয়োজন হতে পারে সেটা নিশ্চিত হয়ে নেয়া প্রয়োজন। ভিডিও ব্যবহার করলে বেশি যায়গা প্রয়োজন হতে পারে। সার্ভারে এজন্য বেশি অর্থ দিতে হয়।
ক্লায়েন্ট যেন সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে (টেলিফোন অথবা অনলাইন চ্যাট) সে ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
প্রচারের জন্য যতটা সম্ভব নিজের সাইটের বিজ্ঞাপন দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া ওয়েব সাইটের প্রচারের জন্য যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত সেগুলি ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলি দেখলে সেখান থেকে ধারনা পাওয়া যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর নিয়ম মেনে চলুন।
পুরো কাজের জন্য পরিকল্পনা আগেই করা প্রয়োজন। পৃথিবীর শতশত কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার নিজের ওয়েবসাইট পরিচিত করার কাজটি সহজ ধরে নেবেন না। শুরু করলেই সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করবে এটাও মনে করবেন না। টাকা আয়ের কোন সহজ পথ নেই। ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করতে, ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে নানারকম পদ্ধতি প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশ্লেষন করে ধারনা পেতে চেষ্টা করুন কোন ধরনের সাইট তৈরী সম্ভব, কতটুকু সাফল্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য কয়েকমাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
শুরুর জন্য নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে জনপ্রিয় করার কাজটি বড় এবং জটিল মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকে তুলনামুলক ছোট এবং সহজ অন্য পথগুলি দেখুন।
আপডেট
ঠিক কিভাবে টাকা আয় হবে জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ। কোন প্রতিষ্ঠান যদি আপনার ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চায় তার কাছে টাকা নেবেন। অনেকটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়াপর মত। এটা একটা পদ্ধতি।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে গুগলের এডসেন্স ব্যবহার করা।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ‘এডস বাই গুগল‘ লেখা বিজ্ঞাপন লিংক নিষ্চয়ই দেখেছেন। এজন্য গুগলের ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য দিয়ে রেজিষ্টার করতে হয়। এরপর তাদের নির্দেশ মত কিছু কোড ব্যবহার করলেই আপনার ওয়েব সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন আসতে থাকবে। ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন প্রতি ক্লিকের জন্য আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। লিংকভেদে অর্থের পরিমান কমবেশি হয়।
কাজেই, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি, আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। আবার বিনোদন মুলক লিংকের চেয়ে বিষয়ভিত্তিক লিংকে ক্লিকে অর্থের পরিমান বেশি। যেমন ক্রিকেট বিষয়ক লিংকে ক্লিকের জন্য হয়ত পাবেন কয়েক সেন্ট, অর্থ বিষয়ক লিংকে পাবেন কয়েক ডলার।
নিজের ওয়েব সাইটে নিজেই ক্লিক করে আয়ের চেষ্টা করবেন না। ফলস ক্লিক যাচাই করার ব্যবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট বাতিল করা হবে।
যেকোন সময় আপনার একাউন্টে জমা টাকার পরিমান জানা যাবে এবং কোন সময়ের বিল পেতে চান জানালে গুগল আপনার ঠিকানায় ব্যাংকচেক পাঠাবে।
গুগলের এডসেন্স সবচেয়ে সুবিধেজনক। তাদের বিনামুল্যে ওয়েব সার্ভিস ব্লগার (ব্লগষ্পট) ব্যবহার করলে ওয়েব হোষ্টিং এর খরচও বেচে যায়, তারা ব্যাংক চেক পাঠায় যা ভাঙানো সহজ।
আরো অনেকেরই এধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক চালু আছে।
নিজের ওয়েবসাইট তৈরী না করেও ইন্টারনেটে আয় করা যায়।

আনোয়ার হোসেন

ঘরে বসে বিপুল ‍আয়ের ‍উপায়

ঘরে বসে বিপুল ‍আয়ের ‍উপায়
Source: Computer Jagat
মো: জাকারিয়া চৌধুরী

অনলাইন ফ্রিল্যান্সি আউটসোর্সিং - ঘরে বসে বিদেশে কাজ প্রয়োজন শুধু কমপিউটার, ইন্টারনেট, মেধা ‍আর কাজের ‍আগ্রহ।



বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ভুবনে তরুণদের কাছে বহুল আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে অনলাইন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং৷ যদিও আমাদের দেশে এখনো এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন৷ পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে যেকেউ গড়ে নিতে পারেন নিজের ভবিষ্যত্ ক্যারিয়ার৷ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল বাজার৷ উন্নত দেশগুলো উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে৷ আমাদের পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে৷ আমরাও যদি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের বিশাল বাজারের সামান্য অংশ ধরতে পারি, তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার একটি কার্যকর উপায়৷
গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। এখানে একদিকে যেরকম রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে কাজের ধরন বাছাই করার স্বাধীনতা। আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা এন্ট্রি - এর যেকোন এক বা একাধিক ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন। তবে প্রথমদিকে আপনাকে একটু ধ্যর্য এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। এই প্রতিবেদনটি তাই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে সফলভাবে প্রকাশ করতে পারেন।


ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্ববচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এই পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)। এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
www.RentACoder.com, www.GetAFreelancer.com, www.GetACoder.com, www.Scriptlance .com, www.Joomlancers .com , www.oDesk.com ইত্যাদি।

নিচে কয়েকটি সাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
www.RentACoder.com
রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই সাইটে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ পাওয়া যায়। সাইটের সার্ভিস চার্জ বা কমিশন হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১৫% যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। এই প্রতিবেদনটি মূলত রেন্ট-এ-কোডার সাইটকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তবে মূল ধারনা প্রতিটি সাইটের ক্ষেত্রেই প্রায় একই।
www.GetAFreelancer.com
এই সাইটে মোট কোডার বা প্রোভাইডারের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় সাত লক্ষ। এই সাইটেও প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ প্রতিদিন পাওয়া যায়। সাইটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১০%। তবে গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। গোল্ড মেম্বার হতে প্রতি মাসে আপনাকে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রোজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন কোডারাই বিড করতে পারবে। ফলে প্রথম কাজ পেতে আপনাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
www.joomlancers.com
এই সাইটে শুধুমাত্র Joomla এর কাজ পাওয়া যায়। Joomla হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যারা Joomla এ পারদর্শী তারা এই সাইটে বিড করে দেখতে পারেন। এখানে প্রায় ৫৫০০ ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন করেছে আর এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি কাজ পাওয়া যায়। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি কাজের ১০% টাকা কোডারকে পরিশোধ করতে হবে। গোল্ড মেম্বার হতে হলে আপনাকে প্রতি মাসে ৫০ ডলার প্রদান করতে হবে।
www.oDesk.com
এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে প্রোভাইডারকে প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য টাকা প্রদান করা হয়। ক্লায়েন্ট আপনাকে সম্পূর্ণ প্রজোক্টের জন্য বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) নিয়োগ দিতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় প্রতি ঘন্টায় আপনার কাজের মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে। কাজ শেষে আপনি যত ঘন্টা কাজ করেছেন ঠিক ততটুকু পরিমাণ টাকা ক্লায়েন্ট আপনাকে প্রদান করবে। কাজ করার মূহুর্তে আপনার ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে একটি সফ্টওয়্যার চালু রাখতে হবে। এই সফ্টওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার ডেস্কটপের স্ক্রিসশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠাবে। ফলে ওই সময় আপনি কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই নির্ধারণ করতে পারবে। তবে অন্য সাইটগুলোর মত এখানেও অনেক কাজ পাওয়া যায় যেখানে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাকা প্রদান করা হয়। এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% টাকা কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ কাজ ঘন্টা হিসেবে প্রদান করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব।
অনলাইনে কাজের ধরন
অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রি এর মত কাজগুলো করতে পারেন। ছাত্ররাও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের একটা ব্যবস্থা করতে পারেন। ইন্টারনেটে নিম্নলিখিত প্রকারের কাজ পাওয়া যায়: প্রোগ্রামিং , ওয়েবসাইট তৈরি , ডাটাবেইজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, গেম তৈরি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়ার টেস্টিং এবং ডাটা এন্ট্রি।
কিভাবে শুরু করবেন
প্রথমে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রশন করা সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ইমেইল ইত্যাদি সঠিকভাবে দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটি ধাপে আপনার একটি প্রোফাইল/রেজ্যুমে তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শী তা উল্লেখ করবেন। এখানে আপনি আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, ওয়েবসাইট লিংক ইত্যাদি দিতে পারেন। পরবর্তীকালে এই প্রোফাইল কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর, এখন আপনি বিড করা শুরু করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রতি মূহুর্তে নতুন কাজ আসছে। আপনার পারদর্শীতা আনুযায়ী প্রতিটা কাজ দেখতে থাকুন। প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন প্রয়োজন নেই। এই কয়েকদিন ওয়েবসাইটি ভাল করে দেখে নিন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এবং সাহায্যকারী আর্টিকেল পড়ে ফেলতে পারেন। একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়। তাই আপনাকে ধর্য্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কয়েকটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তখন ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খোজে বের করবে।
কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়
শুরুতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে জানতে হবে। সেগুলো হল:

Rating :
একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে আপনাকে ভোট দিবে। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ‌১০ রেটিং পেতে। এজন্য কাজ জমা দেয়ার আগে ভাল করে দেখে নিন আপনি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা এবং নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বেই কাজ জমা দিন। গড় রেটিং ৯ এর চেয়ে কম হলে ধীরে ধীরে নতুন কাজ পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
Ranking :
ফ্রিল্যান্সিং একটি সাইটে সকল কোডার এর মধ্যে আপনার অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। রেন্ট-এ-কোডারে আপনার গড় রেটিং এবং সর্বমোট কত টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে আপনার অবস্থান নির্ধারিত হয়। রেটিং এর মত রেংকিং ও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি। তবে বিড করার সময় আপনি যদি ক্লায়েন্টকে আপনার মনোবল, আত্মবিশ্বাস আর সম্ভব হলে পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন তাহলে সবাইকে পেছনে ফেলে আপনিই কাজ পেয়ে যেতে পারেন।
Deadline :
কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্ট কাজ জমা দেবার একটি ডেডলাইন বা সর্বোচ্চ সময়সীমা উল্লেখ করে দেয়। আপনার যদি মনে হয় যে এই কাজ আপনি ক্লায়েন্ট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারবেন না তাহলে কাজ শুরু করার পূর্বেই ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করুন ডেডলাইন সময় বাড়িয়ে দিতে। ক্লায়েন্ট সম্মত হলে কাজটি শুরু করুন। আর যদি ক্লায়েন্ট সময় বাড়াতে আপত্তি জানায় তাহলে কাজটি গ্রহন না করাই আপনার জন্য ভাল হবে। কারন ডেডলানে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি আপনি কাজটি জমা দিতে না পারেন তাহলে কাজের সম্পূর্ণ টাকাই আপনি হারাতে পারেন। উপরন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিতে পারে। তাই কখনও যদি এরকম কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখন অনতিবিলম্বে আপনার বর্তমান অবস্থা ক্লায়েন্টকে জানান এবং ডেডলাইন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করুন।
Mediation/Arbitration:
কখনও যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা সম্পূর্ণ কাজ জমা দেবার পর আপনাকে বলে যে আপনি ঠিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করেন নি তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মেডিএশন/আর্বিট্রশনের সাহায্য নিতে পারেন। এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি ওই সাইটের কাছে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন। সাইটের কর্তৃপক্ষ তখন উভয়পক্ষের অভিযোগ শুনবে এবং কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট এবং আপনার মধ্যে যে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছে তা যাচাই করে দেখবে। সবশেষে আপনার অভিযোগ সত্য হলে আপনি পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। তবে যতটা সম্ভব আর্বিট্রেশনে না যাওয়াই উত্তম, কারন অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট করে এবং আপনি কোন টাকা পাবেন না। আপনি দোষী প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি বাজে রেটিং দিয়ে দিবে। তাই চেষ্টা করবেন আলোচনার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে মিমাংসা করে নিতে। এরকম অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্টকে বলুন তাদের চাহিদা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সকল ম্যাসেজ আদান-প্রদান ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে করুন।
Escrow :
কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়।

একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করার ধাপসমূহ

নিচে রেন্ট-এ-কোডার সাইটের আলোকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হল:
১. প্রজেক্ট সার্চ করা
প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ আসছে। এর মধ্য থেকে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা খোজে বের করে প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করুন। এতে ওই ধরনের কাজে ক্লায়েন্টদের চাহিদা এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারনা হবে। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ধরনের কাজ খোজার জন্য আপনি সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং-এর সাহায্য নিতে পারেন।
২. বিড করা
একটি কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর আপনি যদি মনে করেন কাজটি আপনি সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পাবেন তাহলে ওই কাজের জন্য বিড করুন। বিড করতে আপনাকে সাইটে লগইন করতে হবে। বিড করার জন্য আপনি ওই কাজটি কত ডলারে সম্পন্ন করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন এবং কাজটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানিয়ে ক্লায়েন্টকে ম্যাসেজ দিন। এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে, একটি কাজের জন্য সর্বোচ্চ কত ডলার বিড করতে পারবেন তা প্রজেক্টের বিবরণের সাথে উল্লেখ করে দেয়। তাই তার মধ্যে বিড করুন। তবে আপনি যদি ওই সাইটে এর আগে কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উল্লেখ করুন। আপনার রেংকিং বাড়ার সাথে সাথে বিডের মূল্য বাড়িয়ে দিন।
৩. কাজ শুরু করা
সকল কোডারের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে নির্বাচিত করে থাকে তাহলে দেরি না করে শুরু করে দিন। ক্লায়েন্ট সাধারণত কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এসক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোন কারনে জমা দিতে দেরি হলে তাকে অনুরোধ করুন। এরপর ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল, তাদের সার্ভার ও ডাটাবেইজের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করে দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা একদিন পরপর আপনার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অভিহিত করুন। ক্লায়েন্টের কোন চাহিদা না বুঝতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে যোগাযোগ করুন। ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সবসময় চেষ্টা করবেন ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের সাহায্যে যোগাযোক করুন। এতে পরবর্তিতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলা করতে পারবেন।
৪. প্রতি সপ্তাহের স্টেটাস রিপোর্ট
রেন্ট-এ-কোডারে বড় কাজগুলোর জন্য প্রতি শুক্রবারে কাজের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয়। এজন্য ওয়েবসাইটে প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে "File Weekly Status Report" বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার মন্তব্য দিন। কোন কারনে আপনি যদি স্টেটাস রিপোর্ট না দেন তাহলে আপনার রেংকিং-এর মোট স্কোর থেকে ১০০০ স্কোর বাদ দেয়া হবে। ফলে রেংকিং-এ আপনি অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়বেন।
৫. কাজ জমা দিন
কাজ শেষ হবার পর দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ zip করে আপলোড করে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি ডেডলাইনে উল্লেখিত সময়ের পূর্বেই কাজ জমা দিতে পারেন। কাজটি যদি হয় ওয়েবসাইট তৈরি করা তাহলে অনেক সময় ক্লায়েন্টের সার্ভারে সাইটি আপলোড এবং সেটাপ করে দিতে হতে পারে।
৬. ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করবে
এরপর ক্লায়েন্টের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করুন। কোন পরিবর্তন থাকলে ক্লায়েন্ট আপনাকে জানাবে। আর ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহন করবে যা ইমেলের মাধ্যমে সাথে সাথে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে এসক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটে আপনার একাউন্টে জমা হবে। আরেকটি অংশ (১০% বা ১৫%) সাইটটি ফি হিসেবে রেখে দেবে।
৭. রেটিং এবং মন্তব্য করুন
এবার প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে ক্লায়েন্টকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং করুন এবং একটি মন্তব্য দিন। ক্লায়েন্টের ব্যবহারে আপনি সন্তুষ্ট থাকলে তাকে ১০ রেটিং দিন, এতে ভবিষ্যতে সে আপনাকে আরো কাজ দিবে। ঠিক একইভাবে ক্লায়েন্টও আপনাকে একটি রেটিং এবং মন্তব্য দিবে যা আপনার প্রোফাইলে সারাজীবন থাকবে। ভবিষ্যতে অন্য ক্লায়েন্টরা এই রেটিং এবং মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে কাজ দিবে। একবার রেটিং দেবার পর তা কখনওই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই ক্লায়েন্ট কাজ গ্রহণ করার পূর্বে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন যে সে আপনার কাজে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট কিনা এবং আপনাকে ১০ রেটিং দিচ্ছে কিনা। যদি সে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে দিন।

অর্থ তোলার উপায়সমূহ
একটি কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করার পর আপনার পাওনা টাকা ফ্রিল্যান্সিং তাদের সার্ভিস চার্জ রেখে বাকিটা ওই সাইটে আপনার একাউন্টে জমা করে দেয়। তারপর মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে আপনি সর্বমোট টাকা বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন। এখানে টাকা উত্তোলনের কয়েকটি কার্যকরী পদ্ধতিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার
অর্থ তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি, প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ৪৫ থেকে ৫৫ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:
1. আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা, ব্যাংক এর SWIFT Code ।
2. ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংক এর নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে। এবং
3. এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইট এ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যাংক এর সাইটে না পেলে Google এ সার্চ করে পেয়ে যেতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA Routing Number।

স্নে‍ইল মেইল চেক
এটি তুলনামূলকভাবে একটি ঝামেলামুক্ত কিস্তু সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। আপনার মোট আয় যদি ১০০ ডলারের এর উপর হয় তাহলে চেকের মাধ্যমে সাধারন চিঠিতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রতিবার খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার। তবে চিঠি আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর চেকটি আসবে ডলার-এ, তাই এটিকে টাকাতে রূপান্তর করতে হলে আপনার ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।

পে-অনার ডেবিট কার্ড
উপরের উল্লেখিত দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card। সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককলীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ এর মত। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ ডলার। এজন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওই সাইটের মাধ্যমে Payoneer সাইটে একটি একাউন্ট করতে হবে। তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি MasterCard পৌছে যাবে। কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের মাধ্যমে যেকোন ATM থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এর ATM এই কার্ড সাপোর্ট করে না। স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এর ATM থেকে আপনি সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য কয়েকটি তথ্য
অনলাইনে যত ধরনের কাজ পাওয়া যায় তার মধ্য সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে৷ ওয়েবসাইট তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ওয়েবসাইট ক্লোন, টেম্পলেট বা ওয়েবসাইটের জন্য ডিজাইন তৈরি করা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও ইত্যাদি এর মধ্যে অন্তুভু্ক্ত৷ ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় পিএইচপি এবং ডাটাবেজ হিসেবে MySQL৷ পিএইচপি অত্যন্ত সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেখা সম্ভব৷ এ নিয়ে বাজারে প্রচুর বই পাওয়া যায়৷ আর গুগল-এ সার্চ করে আপনি প্রচুর কোড, টিউটরিয়াল, ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট পেয়ে যাবেন৷ পিএইচপি এবং MySQL-এর সাথে HTML, Javascript, CSS, XML Jইত্যাদি বিষয়ের ওপরও ভাল জ্ঞান থাকতে হবে৷ এজন্য আপনি www.w3schools.com সাইটের সাহায্য নিতে পারেন৷
পিএইচপি এবং MySQL শেখার পর এবার নিজে কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন৷ সাইটের আইডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করুন এবং এক বা একাধিক ওয়েবসাইটের ক্লোন করার চেষ্টা করুন৷ এতে আপনি একটি ওয়েবসাইটে কী কী ফিচার থাকতে পারে, সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন৷ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে এই কাজগুলো উল্লেখ করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টকে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোর স্ক্রিনশট দেখাতে পারেন৷
অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি না করে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্ট পছন্দ করে৷ জনপ্রিয় কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হচ্ছে osCommerce, ZenCart, Joomla, Drupal, Wordpressইত্যাদি৷ এই স্ক্রিপ্টগুলোকে পরিবর্তন করা, নতুন মডিউল বা ফিচার যোগ করা, ডিজাইন পরিবর্তন করা ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়৷ আপনি শুধু এরকম এক বা একাধিক স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন৷ এমন অনেক সফটওয়্যার ফার্ম আছে, যারা কেবল Joomla বা sCommerce-এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের এবং দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির একটি শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই পদ্ধতিতে দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে৷ বর্তমান যুব সমাজ যেখানে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, সেখানে আপনি নিজেই হয়ে উঠতে পারেন অন্যের চাকরিদাতা৷ খুবই সামান্য মূলধন আর কয়েকজন দক্ষ কর্মী নিয়ে আপনিও চালু করতে পারেন একটি সফটওয়্যার ফার্ম বা ডাটা এন্ট্রি হাউজ৷ এজন্য দরকার আপনার সাহস, দক্ষতা আর ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভাল একটি প্রোফাইল৷

শেষ কথা
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্সারের স্বাধীনতা থাকে৷ ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছে মতো কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে৷ একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের সুবিধামতো সময় বিবেচনা করেও কাজ বেছে নিতে পারে৷ আর এই কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, যেকোনো পেশার লোক বা চাকরিজীবী শুধু প্রোগ্রামিং বা সংশ্লিষ্ট কাজ শিখেই আউটসোর্সভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন৷ এখানে যোগ্যতার মাপকাঠী হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে শাখায় কাজ করতে চান, সেই বিষয়ে আপনি কতটুকু জানেন৷ অন্য কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কাজ খুবই উপযোগী৷
বলার অপেক্ষা রাখে না, নয়-এগারোর পর থেকে পুরো বিশ্বেই আইসিটি খাতের লোকেরা কর্মপরিধি সীমিত করে দিয়েছিল৷ তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে৷ পুরো বিশ্বের মতো এদেশেও কমপিউটার বিজ্ঞান বা কমপিউটার প্রকৌশলী অনুষদের ছাত্রসংখ্যা কমেছে৷ এই সময়ে আইসিটি খাতে কাজও কমে গিয়েছিল৷ এসব অনুষদের ছাত্রদের মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা এখনো কাজ করে৷ আমাদের দেশের মতো দেশে যেখানে ভালো চাকরি বা কাজের পরিধি বেশ কম, সেখানে উন্নত বিশ্বে শুধু আইসিটি নয় যেকোনো অনুষদের ছাত্ররাই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে নিজ নিজ বিষয় সংশ্লিষ্ট পার্টটাইম কাজ করে উপার্জন করতে পারে৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ কাজ করে ছাত্ররা তাদের নিজ নিজ টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারে৷ দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ প্রায় নেই বললেই চলে৷ অথচ আমাদের পাশের দেশ ভারতেও আইসিটি সংশ্লিষ্ট অনুষদে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ পাওয়া যায়৷ পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের কাজে প্রধান সুবিধা হচ্ছে ছাত্ররা নিজেদের ভবিষ্যতযোগ্যতা সম্বন্ধে সচেতন থাকতে পারবে৷ প্রযুক্তিভিত্তিক যেকোনো বিষয়েই যা খুব জরুরি৷
আমাদের দেশে ছাত্রদের জন্য ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং নতুন করে আশার সৃষ্টি করে৷ আইসিটির হাজার হাজার ছাত্রদের মধ্যে এমন হতাশা কাজ করে যে, আগের চেয়ে এই খাতে কাজ কমছে এবং এই কাজ কমার প্রবনতা কমাতে পারে অনলাইন ফ্রিল্যান্স৷ শুধু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে নিজেই আইসিটিভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে এমন নজির খুব কম নয়৷ আর আমাদের পাশের দেশসমূহে ফ্রিল্যান্স খুব জনপ্রিয়৷ শুধু ভালো ইন্টারনেটের অভাবে আমরা অনেকদিন ধরেই এই খাত থেকে পিছিয়ে ছিলাম৷ যদিও ভালো ইন্টারনেট সংযোগের পুরো সুবিধা আমরা এখনো পাচ্ছি না৷

কেস স্টাডি - ০১

আউটসোর্সিং করে বাংলাদেশে অনেকেই বেশ আয় করছে



আমি এ. কে. এম. মোকাদ্দিম৷ বয়স ২৬ বছর৷ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালরে সিএসই বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে এখন একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করছি৷
ফ্রিল্যান্স এখন আমার কাছে নেশার মতো৷ ২৫ বছর বয়স থেকে আমি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িত৷ শুরুতে নির্দিষ্ট কারো কাছ থেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ব্যাপারে শুনিনি৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় কয়েকজন বড় ভাই পরামর্শ দিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে৷ তবে আমার শুরু তারও অনেক পরে৷ তার আগে বাংলাদেশের কাজ করতাম৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শুরু করা বলতে শুরু নয়৷ শুরু করতে চাইলেই কেউ শুরু করতে পারে না৷ প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হয়ই৷ কাজ পেতে একটু কষ্ট হয়৷ কারণ, কম রেটিং পাওয়া বা রেটিং ছাড়া কাউকে ক্লায়েন্টরা সহজে কাজ দিতে চায় না৷ আমিও অনেক পরে কাজ পেয়েছি৷ শুরুতে অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ না করলে বা দেরি হলেও কাজ ছুটে যেত৷ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং জগতের অনেক টার্মসও বুঝতাম না৷ তাই কমিউনিকেশনে একটু সমস্যা হতো৷ হয়ত ক্লায়েন্ট বলছে এক সফটওয়্যারের কথা, আর আমি ভাবছি অন্যটি৷ এরকম আরো অনেক সমস্যাই হয়েছে৷ তবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শুরুতেই যা সমস্যা৷ কিন্তু একবার ভালো রেটিং করতে পারলে বা পুরো ব্যাপারটি বুঝে গেলে আর সমস্যা হয় না৷ আমার ভালো রেটিং পাবার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে অনেকেই এখন বাংলাদেশে বসে আয় করছে৷ বাংলাদেশে বসে আয় করতে কোনো সমস্যা নেই৷ এক সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়া৷ কারণ, এদেশের মানুষের স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষে ব্যবসায় বা চাকরি করা ৷ আর ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এগুলোর সাথে ঠিক মেলে না৷ বেশিরভাগ মানুষই ভাবে এটা একটি ক্ষণস্থায়ী কাজ৷ অনেকেই বুঝে না ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কী তবে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে৷ ইদানীং অনেকেই এটাকে ভালো চোখে দেখছে৷
কাজশেষ হলে টাকা পাওয়া যায়৷ উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা কম বলে বাংলাদেশে টাকা আনা একটু ঝামেলার৷ কারণ, বাংলাদেশে paypal নেই৷ বেশিরভাগ পেমেন্ট হয় এর মাধ্যমে৷ টাকার জন্য থার্ড পার্টি সার্ভিস যেমন Xoom, Western Union দিয়ে টাকা আনতাম প্রথম দিকে৷ এখন অবশ্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা আনি৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংকে পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নেয়া যায়৷ এতে মাসিক আয়ের কোনো ঠিক নেই৷ যদি সময়মত কাজ পাওয়া যায় আর ঠিকমত কাজ ডেলিভারি দেয়া যায়, তবে 800 থেকে 1200 ডলার আয় করা সম্ভব প্রতিমাসে৷ এটি নির্ভর করছে অভিজ্ঞতা ও সুনামের ওপর৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে চাইলে যে শুধু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংই করতে হবে বা এর প্রোগ্রামিং জানতেই হবে এমন কোনো কথা নেই৷ কোনো কিছু না জানলে ডাটাএন্ট্রির মতো কাজ করা যেতে পারে৷ ঘরে বসে ইন্টারনেটে শুধু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, পেইন্টিং, মার্কেটিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ক্যাড, ফটোগ্রাফি, কনসাল্টিং, কাস্টমার সাপোর্ট ইত্যাদি কাজ করে আয় করা যায়৷ তবে শুধু কাজ পেলাম আর কাজ করলাম তা নয়৷ ফ্রিল্যান্সে আসলে ডেভেলপমেন্টের কাজ করা ছাড়া অন্যান্য কাজ যেমন ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং, নতুন কাজ যোগাড়- এসব করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হয়৷ এজন্য ভালোই সময় দিতে হয়৷ প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টার মতো সময় দিতে হয়৷
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে রেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ রেটিংয়ের ব্যাপারে সবাইকেই মনোযোগী হতে হবে৷ তা না হলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং না করাই ভালো৷ আমার রেটিং 10/10৷ আর www.script-lance.com -এ সর্বোচ্চ ৠাংকিং ছিল 221৷ বর্তমানে এটা কমে গিয়ে 191-এ নেমেছে৷ কারণ, আমি এখন বিভিন্ন সাইটে কাজ করছি৷ রেটিং বাড়াতে হলে টাইমলি বাগ ফ্রি সফটওয়্যার ডেলিভারি দিতে হবে, অবশ্যই চাহিদা পূরণ করতে হবে৷ এসব করলে রেটিং বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তারপরও সবকিছুই নির্ভর করে গ্রাহকের ওপর৷ কারণ রেটিং দেয়ার ক্ষমতা তার হাতে৷
কাজ করতে করতে অনেক মজার ঘটনাতো ঘটে৷ আমার ক্ষেত্রে তেমন কোনো মজার ঘটনা নেই আসলে৷ তবে মাঝে মাঝে আমি কোনো কোনো প্রকল্প প্রস্তাবনা দিলে হয়ত দেখতাম আমার কোনো বন্ধুও সেখানে প্রোপোজাল দিয়েছে, পুরোটাই অনিচ্ছাকৃত৷ কিন্তু একটা স্নায়ুযুদ্ধ ভর করে মনের মধ্যে৷ তবে এক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের কোনো বিকল্প নেই৷ অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সাররা অনেক পেশাদার৷ আমরা সে তুলনায় পিছিয়ে আছি৷
বাংলাদেশে এটার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল৷ এটা পুরোপুরি মেধা ও সৃজনশীলতার ব্যাপার৷ আমাদের দেশের ছেলেদের কোয়ালিটি অনেক ভালো৷ শুধু কাজে লাগাতে হবে৷ এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে৷ ইদানীং অনেক বাংলাদেশীই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসছে৷ এক বছর আগেও এর হার বেশ কম ছিল৷ ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হচ্ছে৷ তবে এ কাজের জন্য বিদ্যুত্ ও ইন্টারনেট অপরিহার্য অংশ৷ তাই এ দুটো বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷
নতুন যারা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করতে চাচ্ছে তাদেরকে বলব তাড়াহুড়া না করতে৷ একটু সময় লাগতে পারে৷ তবে সফলতা অনিবার্য৷ লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।

কেস স্টাডি - ০২

বাংলাশেফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ভবিষ্যত্ খুবই উজ্জ্বল



আমি এ. এইচ. এম. শাহনূর আলম শাওন৷ চট্টগ্রারে সি, ইউ, ই, টি, থেকে সিএসই বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছি৷ আমার বয়স ২৬, এখন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করছি৷
সর্বপ্রথম আমি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি ফিচার পড়ে জানতে পারি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে আয় করা সম্ভব৷ তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল কিভাবে এর মাধ্যমে সফল হওয়া যায়৷ যেই ভাবা সেই কাজ৷ বলা যায়, এর পর থেকে এক্ষেত্রে আমার অভিযানের শুরু৷ আমি প্রায় আড়াই বছর ধরে এই আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িত৷
প্রথম যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন আমার আশপাশে এমন কেউ ছিলো না, যার কাছে আমি নতুন কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারি৷ যার কারণে নিজেকেই সব সার্চ করে সমাধান বের করতে হতো৷ এতে করে অনেক সময় দেখা গেল, খুব ছোট একটা সমস্যায় আমাকে অনেক বেশি সময় খরচ করতে হয়েছে৷ শুরুতে কোনো গাইডলাইন পাইনি৷ তবে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷
যে সমস্যাগুলো আমাকে মারাত্মকভাবে ভোগায় সেগুলো হলো-

০১. ধীরগতির ইন্টারনেট-যা আমাদের প্রোডাক্টিভিটি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে৷ যেমন ধরুন, আমাকে একটা সাইটের বাগ ফিক্সড করার জন্য বলা হলো, আর সময় দেয়া হলো ২ ঘণ্টা৷ কিন্তু ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে সাইটটি ব্রাউজ করে বাগ পয়েন্ট আউট করতেই আমার লেগে গেল ৯০ মিনিট৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলে একই কাজ ৩০ মিনিটে করা সম্ভব৷
০২ বিদ্যুত্ সমস্যা হচ্ছে আরেকটি প্রধান সমস্যা৷ ধরা যাক কোনো জরুরি কাজের ডেডলাইন হচ্ছে ৩ দিন এবং আমার সেটি ৩ দিনের মধ্যে শেষ করতে গেলে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে৷ দেখা গেল পরবর্তী ৩ দিনে সব মিলিয়ে বিদ্যুত্ থাকল ১০ ঘণ্টা৷
ইন্টারনেটভিত্তিকপেমেন্ট (যেমন paypal) সিস্টেমের কোনো ব্যবস্থা না থাকাও একটা বড় সমস্যা৷ দেশে অর্থ আনার জন্য আমি Western Union Money Transfer এবং ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ব্যবহার করি৷ তবে বিদেশ থেকে এখনো এদেশে অর্থ আনা খুব কষ্টসাধ্য একথা মনে হয় সবাই জানেন৷
যেকোনোসফল আউটসোর্সিংয়ের গড় আয় খুবই ভালো৷ কিন্তু আমি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাই না৷ এখানে সবচেয়ে উপভোগ্য হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ৷ সময়ের ব্যাপারটা পুরোপুরি নিজের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে৷ কিন্তু আসল কথা হচ্ছে ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ করা৷
আমার রেটিং হচ্ছে চমত্কার৷ কিন্তু রেটিং এর বিষয়টা আসে তখন, যখন কেউ বিডিং সাইট থেকে কাজ নেয়৷ তবে যখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়ে যায় এবং কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে পারলে বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানির সাথে সরাসরি কাজের চুক্তি করা যায়৷ আর রেটিং বাড়ানোর জন্য যেসব পথ অবলম্বন করতে হয় সেগুলো হলো : কাজের গুণগত মান ঠিক রাখা, কাজ চলার সময়ে বায়ারের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখা, মার্জিত ভাষা ব্যবহার করা৷ প্রোগ্রামিং ছাড়া আরো অনেক কিছু করে ঘরে বসে আয় করা যায়৷ যেমন- ডাটা এন্ট্রি, সার্ভার মেনটেনেন্স এবং অনলাইন লিগ্যাল কনসালট্যান্সি৷
আউটসোর্সিংনিয়ে আসার ক্ষেত্রে তেমন কোনো মজার ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু একটা লোকাল কাজ নিয়ে মজার ঘটনা ঘটেছিল৷
একদিন এক লোক এসে বলল, তার জন্য একটা শপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বানাতে হবে এবং ওটা কী কী কাজ করবে তা বলল৷ সবশেষে সে বলল, আমি তোমার আব্বুর সাথে গল্প করছি, তুমি চটপট বানিয়ে ফেলো, যেন আমি যাওয়ার সময় নিয়ে যেতে পারি৷ সে মুর্হুতে ‍আমার ‍আব্বুকে বলতে ‍ইচ্ছে করছিল, আব্বু যেন ‍এমন ‍একটা গল্প শুরু করে যা শেষ হতে অন্তত ৪৫ দিন লাগবে৷
বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ধারার ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভবিষ্যত্ খুবই ভালো৷ কিন্তু আমার কাছে ভবিষ্যত্ যে পরিমাণে ভালো মনে হচ্ছে সে তুলনায় অগ্রগতি মনে হচ্ছে খুবই ধীর৷ অর্থাত্ আমরা খুবই ভালো ভবিষ্যতের দিকে খুবই ধীরগতিতে যাচ্ছি৷ এই গতিটাকে বাড়ানোর জন্য ন্যুনতম যা দরকার, তা হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা, বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান করা এবং আউটসোর্সিংয়ে সুযোগগুলোর ব্যাপারে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করা৷ বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকেও এগিয়ে আসতে হবে৷
নতুনদের উদ্দেশে যা বলার তা হলো- একটা ভালো চাকরির জন্য যা জানা দরকার, একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে তার চেয়ে অনেক বেশি জানা দরকার৷ সুতরাং ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে৷ আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নতুন অনেকে জিজ্ঞেস করে, বিড করি, কিন্তু কাজতো পাই না৷ সে ক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হলো- বিডিংয়ের ধরন পরিবর্তন করা৷ শুধু “I am interested one” অথবা “I want to do this” লিখে বিড করলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম৷ একটা ভালো Bid Response-এ অন্তত এতটুকু থাকতে হবে যা দেখে একজন বায়ার বুঝতে পারবে যে বিডার কাজটি করতে সক্ষম, আর তখনই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

Saturday, January 15, 2011

আপনি ব্লগার? এ্যাডসেন্স ছাড়াও ভালোই আয় করতে পারবেন!

আপনি ব্লগার? এ্যাডসেন্স ছাড়াও ভালোই আয় করতে পারবেন!

আপনি লোকমুখে শুনেছেন "ব্লগ" নামের একটি বিচিত্র জিনিস দিয়ে "এ্যাডসেন্স" নামের এক উপায়ে নাকি অনেক আয় হয়। তাই আপনিও উৎসাহিত হয়ে গিয়ে শুরু করে দিয়েছেন একটি ব্লগ। ভেবেছিলেন যে একটি ব্লগ খুলে কিছু একটা করলেই আয় হবে। ভালো করে অনেকেরই ধারনা ছিলোনা জিনিসটি সম্বন্ধে। কারন, অতি অল্প বয়সে হাতে কমপিউটার আর ইন্টারনেট পেয়ে গেছেন, জীবন সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনাই নেই এখনো। সহজেই টাকা হাতে এসে যাবেনা, তার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে।

টেকটিউনসের মতো সাইটে ঘুরতে ঘুরতে কেউ শুরু করেছেন ফটোশপের টিপস ও ট্রিকস শেখানো, কেউ লিখছেন উইন্ডোজ ব্যাতীত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে কিভাবে কী কী করা যায়; কেউ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড দিচ্ছেন, কেউ কেউ গান আর মুভি ডাউনলোড দিচ্ছেন। এর ফাঁকে ফাঁকেই শিখে নিচ্ছেন কোথায় ভালো ভালো ব্লগ থিম পাওয়া যাবে, কোথায় কী প্লাগিন ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে ইত্যাদি। কারো ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে উন্মাদনা, কারো বা জুমলা নিয়ে মাতামাতি। কেউ কেউ কিছু পিএইচপি শিখলেন, কেউ বা এইচটিএমএল আয়ত্ত করলেন কিছুটা।

অল্পদিনের মধ্যেই নিজেকে অনেক বড় "টেকি" ভেবে নিলেন, কিন্তু তারপরে যখন বুঝলেন এইভাবে হচ্ছেনা, তখন অনেকদিন পার হয়ে গিয়েছে। হয়তো মানুষের কাছে অনেক বাহবা পেলেন, সবাই বললো যে বাহ্‌ আপনি কতো জানেন, কী সুন্দর লেখেন, অনেক কিছু শেখার আছে আপনার লেখায় - সব হলো কিন্তু আয়ের আশা স্বপ্ন হয়েই থেকে যাচ্ছে। তাইনা? তার মূল কারন হচ্ছে যে আপনার মেধাকে সঠিক পথে চালিত করতে পারছেননা।

ইতিমধ্যে গিয়ে ঘুরে এসেছেন কিছু এক্সপার্টদের ব্লগে, পাশ্চাত্যের প্রোফেশনাল ব্লগারদের ব্লগেও, শুনেছেন তাদের ছয়-অঙ্কের আয়ের সংখ্যাটি। শুনেছেন এসইও করার কথা, শুনেছেন কীওয়ার্ড দিয়ে কীভাবে সাজাতে হবে লেখা, শুনেছেন যে ভীষণ দামী সব কীওয়ার্ড আছে, প্রতি ক্লিকে বিশাল মূল্য। কিন্তু সব করেও সাফল্য কাছে আসার বদলে দূরেই রয়ে গেছে। নিরাশ হয়েছেন, হতাশ হয়েছেন, গুগল এ্যাডসেন্সকে গালাগালি দিয়েছেন। কিন্তু আপনি ভাবেননি যে কেন আপনি সফল হতে পারছেন না! এখানেই গোড়ায় গলদ থেকে গিয়েছে।

ভালো করে বুঝে নিন, আপনি যতোবড়ই টেকি হোন না কেন, তাতে এ্যাডসেন্স দিয়ে আয় হওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ। কেন বলুন দেখি? বাংলাদেশের চেয়েও অনেক অংশে এগিয়ে আছে যেসব দেশ, সেখানে ছেলেমেয়েরাও আপনাদেরই মতো টেকি হয়ে গেছে। তাদের আর নতুন করে কিছুই শেখার নেই আপনার কাছে। পরের কারন হচ্ছে, এইসব লেখায় কিছু পণ্য বিক্রির কোনো সম্ভাবনাই নেই।

তাই, আপনার চাই সরাসরি এমন কোনো উপায় যা দিয়ে আপনার মেধার কিছু অংশ কিনে নেবেন প্রয়োজনী কেউ। অর্থাৎ, আপনি ফ্রিল্যান্স কাজের চেষ্টা করলে ভালো ফল পাবেন, কিন্তু গুগল এ্যাডসেন্স দিয়ে নয়। যদি ফটোশপের ট্রিকস জানেন, তবে নানাবিধ আকর্ষণীয় ডিজাইনের ব্লগ খুলুন। কিছু জিনিস ফ্রি দিন, কিছু প্রিমিয়াম কন্টেন্ট দিয়ে আয় করুন! দয়া করে এ্যাডসেন্সের উপরে ভরসা করে থাকবেননা। এ্যাডসেন্স একমাত্র আয়ের উৎস নয়।

এ্যাডসেন্সকে দোষী না ভেবে তাকে বুঝুন ভালো করে। এ্যাডওয়ার্ডস দিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তারাই যারা কিছু পণ্য বিক্রয় করছেন। আপনার ফটোশপ টিপস ও ট্রিকসের ব্লগে কিছু বিক্রয় হবে কি? হলে সেটা কী? আগে সেই পণ্য চিহ্নিত করুন। ফটোশপ সফটওয়্যার বিক্রির সম্ভাবনা থাকতে পারে, তবে সেটা বড়ই ক্ষীণ সম্ভাবনা। যারা ফটোশপ অরিজিনাল কিনবেন তারা আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপন দেখে কিনবেননা। তারা আগে থেকেই জানেন ফটোশপ কী, কে বানায়, কতো দাম - তারা সরাসরি প্রধান বিক্রেতার ওয়েবসাইট থেকেই কিনে নেবেন। এছাড়া আর কী হতে পারে? টিপস এন্ড ট্রিকস শেখানোর নানাবিধ ই-বুক আছে ভিডিও আছে, লোকে সেইসব ডাউনলোড করে নেবে। আপনার কী হবে?

সুতরাং, ব্লগে আগত পাঠককে আপনি যা দিতে পারবেন সেইটা থেকেই আয়ের পথ বানাতে হবে। আজকাল ওয়েব ডিজাইনের যুগ, আকর্ষণীয় ব্যানার তৈরী করুন, ফ্ল্যাশে কিম্বা ফটোশপে। নানাবিধ এফেক্ট দিয়ে ওয়েব বাটন তৈরী করুন। সিএসএস জানলে সরল সুন্দর ওয়েব মেনু তৈরী করুন। সেইগুলির কিছু ফ্রি দিয়ে বেশি আকর্ষণীয়গুলো প্রিমিয়াম হিসেবে দিন এবং আয় করে নিন আপনার মেধার উপযুক্ত প্রয়োগ করে।

আপনি কি ওয়েব ডিজাইনার? তবে নিজের বানানো কিছু সাইটের ডিজাইন প্রদর্শন করুন আপনার সাইটে, লোককে জানান আপনি এই কাজ করেন। বিভিন্ন ফোরামে গিয়ে জানান আপনার কাজের নমুনা। অনেকেই খুঁজছেন ওয়েব ডিজাইনার, সুন্দর আয় করতে পারবেন। একটি সাইট ডিজাইন হয়ে গেলেই তার স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের সাইটে দেবেন। যদি নিজের প্রচেষ্টায় সবটা না পারেন, তবে ডিজাইনারদের জন্য সাইট আছে, সেখানে নিজের সামগ্রী ডিসপ্লে দিন, বিক্রি হবে, আপনি টাকার শেয়ার পাবেন।

আপনি কি প্রোগ্রামার? কাস্টম সফটওয়্যার বানাতে পারেন? তাহলে ফ্রিল্যান্সে বাড়তি আয় করতে পারবেন। আপনার করা প্রোজেক্টগুলির বিবরণ ও বৃত্তান্ত সব বুঝিয়ে লিখে কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে ব্লগ তৈরী করুন। এতে ভালোই আয় আছে।

ব্লগ এবং ব্লগ থেকে আয় মানেই গুগল এ্যাডসেন্স এবং তার বিকল্প এ্যাডব্রাইট, চিতিকা, ক্লিকসর, বিডভার্টাইজার ইত্যাদি নয়। আপনার মেধা থাকলেই হবেনা, তা দিয়ে আয় করতেও জানতে হবে। ভুল পথে চেষ্টা করলে হাজার পরিশ্রমেও আয়ের মুখ দেখতে পাবেননা। ব্যাপারটা এমন যে আপনার এক বন্ধুকে দাঁড়াতে বললেন বনানীতে, আর আপনি তাকে খুঁজতে চলে গেলেন গুলশানে। এমন করলে কেবল পরিশ্রমই হবে, বন্ধুকে খুঁজে পাওয়ার আশা নেই। বন্ধুকে যেখানে দাঁড়াতে বলবেন, সেখানেই যাবেন, তাকে সেখানেই পাবেন। আয়ের বেলাতেও ঠিক তাই। যেটা জানেন যেটা পারেন সেই বিষয়ে ব্লগিং করুন, এ্যাডসেন্স নিয়েই গোঁ ধরে বসে থাকবেননা কারন এ্যাডসেন্স ছাড়াও আয়ের প্রচুর সম্ভাবনা আছে সেইগুলি ধরে এগোলে এ্যাডসেন্সের চাইতে অনেক বেশিই আয় করতে পারবেন।
Source:
adsense alternative

যারা অনলাইন আয় এ নতুন তাদের জন্য এই পোস্ট টা (অনলাইন আয় এর সহজ দুই পদ্ধতি)

যারা অনলাইন আয় এ নতুন তাদের জন্য এই পোস্ট টা (অনলাইন আয় এর সহজ দুই পদ্ধতি) সাথে পেপ্যাল থেকে টাকা উত্তোলন ট্রিকস !! অনলাইনে আয়


লিখেছেন ফাহিম রেজা বাঁধন

মোবাইলে: 01712400773 (1pm থেকে 9pm)
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে মঙ্গলবার, 30 নভেম্বর 2010

কেমন আছেন !! মনে হয় ভাল। আমি ও আল্লাহ রহমতে ভাল আছি।

কিছু দিন থেকে আমার কাছে ফোন আসতেছে । সবাই বলে ভাই গুগল এডসেন্স ছাড়া কি আর অনলাইন এ আয় করার ব্যবস্থা নাই । শুধু তাদের জন্য আমার এই লেখা। যাই হোক গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায় এটা সবাই জানে । কিন্তু কত জন সৎ পথে এখান থেকে আয় করতেছে। এখান থেকে আয় করতে চাইলে অবশ্যই তার মাঝে কিছু গুন থাকতে হবে । যেমন

  • তাকে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ABC জ্ঞান থাকতে হবে ।
  • ব্লগিং করার মত জ্ঞান থাকে হবে ।
  • ইংলিশ জানতে হবে । এটা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই লাগবে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ সম্পর্কে অনেক ভাল ধারনা থাকতে হবে।

এ রকম আর জ্ঞান থাকতে হবে। এখন যাদের মাঝে এই গুন গুলো নেই তারা কখনেই গুগল এডসেন্স আয় করতে পারবে না। যারা অসৎ পথে আছে তাদের কথা বাদেই দিলাম । এখন প্রশ্ন হল যারা গুগল এডসেন্স বা ব্লগিং সম্পর্কে তেমন একটা জানে না তাদের কি হবে?

এই প্রশ্ন আপনার?

হ্যা আপনাদের জন্য আজ আমার এই পোস্ট। আজ আমি এমন কিছু মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার কথা জানাবো , যে মাধ্যম গুলো সহজ ও ইন্টারনেট চালানোর সামন্য অবিজ্ঞতা থাকলে ও সামন্য কিছু সময় দিয়ে অনায়াশে আপনি মাসে একটা ভাল এমাউন্ট পেতে পারেন , যা দিয়ে আপনি আপনার পকেট খরজ ও মোবাইল খরজ চালাতে পারবেন।

আমি আজ যে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হল এফিলিয়েট মার্কেটিং । এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন , এর জন্য আপনাকে কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় করতে হবে না। কি ভাবে করবেন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং তা নিয়ে আমি আজ আলোচনা করবো। আমি আজ দুটো সাইট এর সাথে পরিচয় করে দিবো যা থেকে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। সাইট দুটির নাম www.co.cc এবং www.ziddu.com

www.co.cc:

CO.CC:Free Domain

www.co.cc হল একটা ফ্রী ডোমেইন সাইট এটা সবাই জানে । এরা ফ্রীতে ডোমেইন নেইম দিয়ে থাকে । এ নিয়ে বেশি কথা বললামান । যাই হোক এ থেকে কি ভাবে আয় করা যায় এবার আমি সেই কথায় বলছি । আপনি তবে এখানে নিজের ডোমেইন নেয়ার পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় এর সুযোগ আছে ।

co.cc থেকে কিভাবে আয় করবেঃ

এখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন । এখানে আপনি কাউকে রেজিষ্ট্রেশন করালে .10$ পাবেন । এবং 1$ হলে আপনি পে-আউট করতে পারবেন । এবং এই পে-আউট কেবল পেপ্যাল দিয়ে করা যায়। বাংলাদেশ এ যেহেতু পেপ্যাল সাপর্ট করে না তাই একটু অনন্য পদ্ধতি টাকা আনতে হবে নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখন বলি কিভাবে কাজ করবেন। ১ম co.cc সাইট এ জান রেজিষ্ট্রেশন করুন এবং তার পর Referrals এ ক্লিক করুন (নিচের ছবি টা দেখুন) এবং Referrals এর জন্য আবার রেজিষ্ট্রেশন করুন ব্যস কাজ শেষ। এবার তারা একটা রেজিষ্ট্রেশন লিঙ্ক দিবে তা দিয়ে আপনি অনন্য কাউ কে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে আয় করুন এবং আপনার ব্লগ থাকলে আপনি আপনার ব্লগ এ Referrals ব্যানার এড দিয়ে এই কাজ করতে পারেন।

www.ziddu.com:

www.ziddu.com এই সাইট টা মুলত ফাইল শেয়ারিং সাইট তবে এথানে রয়েছে আয় করার সুযোগ । আপনি আপনার ব্লগ লিখেও এ মাধ্যমে বিভিন্ন সফট আপলোড করে তা নিয়ে ডাউনলোড লিংক দিয়ে আয় করতে পারেন । তা ছাড়া আপনি এফিলিয়েট মার্কিটিং এর মাধ্যমে অন্য কাউ কে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে আয় করতে পারেন ।

কি ভাবে পেপ্যাল থেকে টাকা আনবেনঃ

এখানে আমি দু পদ্ধতি কথা আলোচনা করবো। এই পদ্ধতিগুলো আমি জেনে ছি আমার এক বড় ভাই এর কাজ থেকে । এবং এগুলো পরীক্ষিত ।

১নং পদ্ধতিঃ

এই পদ্ধতিটি টাকা আনা একটু সহজ । আপনি এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আনতে পারবেন যেমন পেপ্যালবিডি ডট কম। এই সাইটে আপনি একাউন্ট খুলুন এবং এদের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র পুরন করে সদস্য ফি দিয়ে একাউন্টটি একটিভ নিন । এখানে সদস্য ফি ২০০৳ থেকে ৫০০৳ নিতে পারে। একাউন্টটি একটিভ হয়ে গেলে আপনি সহজে এরপর থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি লেনেদেনে তারা ৫% থেকে সর্বোচ্চ ১০% ফি রাখবে।

২নং পদ্ধতিঃ

যারা অনলাইনে কম টাকা আয় করেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি টা ভাল । কারন এই পদ্ধতি তে আপনি সহজে মোবাইল বা নেট বিল দিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যে কোন ভাবে একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলতে হবে (ভেরিফাই এর দরকার নেই পরবেন না) তারপর www.ziddu.com বা www.co.ccremit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়। আয়ের জমাকৃত টাকা আয়ের জমাকৃত টাকা remit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়।

তথ্য সুত্র: বিডি টিউটোরিয়াল২৪ ব্লগ

ইন্টারনেটে আয় করুন নিশ্চয়তার সাথে

ইন্টারনেটে আয় করুন নিশ্চয়তার সাথে

Bএই আর্টিকেলটি কম্পিউটার বিচিত্রার “ঘরে বসে আয়” বিভাগে ছাপানো হয়।

ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন, তারা ভালভাবেই জানেন একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কমপিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদেরকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সেখানে কাজ করার জন্য কোনো বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মুহূর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও খুব সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কার্স :
www.microworkers.com

প্রথম দর্শনেই সাইটটি সহজবোধ্য মনে হবে। মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইটের কাজগুলো খুব ছোট ছোট। এক একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ মাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উঠানো যায়।
মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এ দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে, তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে।
Worker হিসেবে কাজ শুরু করার আগে প্রথমে সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিঙ্কে ক্লিক করলে কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায়- কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোনো একটি কাজের শিরোনামের ওপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে ‘What is expected from workers?’ অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন, তা প্রমাণ দিতে কী কী তথ্য দিতে হবে, তা ‘Required proof that task was finished?’ অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে ‘I accept this job’ লিঙ্কে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোনো কাজ করতে না পারলে ‘Not interested in this job’ লিঙ্কে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভালো, সেক্ষেত্রে এ কাজটি ‘Available Jobs’ পাতায় আর কখনো দেখাবে না।

কাজের বিভিন্ন ধরন

এবার দেখা যাক, সাইটে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয়।

ক্লিক অ্যান্ড সার্চ (টাকা ০.১০-টাকা ০.১৫) :
এ ক্ষেত্রে তথা গ্রাহক একটি সাইটের লিঙ্ক দেবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সবশেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।

বুকমার্ক এ পেজ (টাকা ০.১০-টাকা ০.২০) :
গ্রাহকের কোনো একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দেবে। বুকমার্ক করার আগে ওই সাইটে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

সাইনআপ (টাকা ০.১০-টাকা ০.২০) :
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ই-মেইলের কারণে আপনার দরকারী ই-মেইল খোঁজে পাবেন না।

কমেন্ড অন আদার (টাকা ০.১০ - টাকা ০.১৫) :
এ কাজে গ্রাহকের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

ফোরাম (টাকা ০.১০ - টাকা ০.১৫) :
এ ধরনের কাজের জন্য কোনো একটি ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোনো ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।

ফেসবুক (টাকা ০.১৫ - টাকা ০.২০) :
এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে নেয়া বা ক্লায়েন্টের ভক্ত হওয়া অথবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall-এ পোস্ট করা।

টুইটার (টাকা ০.১৫-টাকা ০.২০) :
এক্ষেত্রে twitter.com-এ একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের অ্যাকাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।

রাইট অ্যান আর্টিকল (টাকা ০.৫০ - টাকা ১.৭৫) :
মাইক্রোওয়ার্কার্সে পাওয়া কাজগুলোর মধ্যে এ ধরনের কাজ অর্থাৎ কোনো বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে একদিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বাড়ে তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজিতে লেখায় দক্ষতা আছে, তারাই শুধু এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হলো কি না, তা http://www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।

ব্লগ/ওয়েবসাইট ওনারস (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৮০) :
অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+, PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসব ওয়েবসাইটের পেজ র্যাাঙ্ক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড, যা কোনো ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেজ র্যা ঙ্ক কত, তা http://www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার আগে http://www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেজ র্যা ঙ্ক থাকবে। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন, তাহলে কয়েক মাস পর পেজ র্যা ঙ্ক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভালো র্যা ঙ্কের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক বিনিময় করতে পারলে পেজ র্যা।ঙ্ক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।

ডাউনলোড অ্যান্ড/অর ইনস্টল (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৩৫) :
এ কাজে কোনো সফটওয়্যার শুধু ডাউনলোড এবং কোনো কোনো সময় ইনস্টলও করতে হয়।

পোস্ট অ্যান অ্যাড অন ক্র্যায়েজলিস্ট (টাকা ০.২৫-টাকা ০.৭৫) :
http://www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের দেয়া কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য আগেই সাইটটিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

অর্থ উত্তোলন

* শুধু ‘Satisfied’ রেটিং পেলেই সে কাজের টাকা আপনার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।

* চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনোটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।

* অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের বেশি হলেই শুধু টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে।

* প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বারটি পরে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে কি না, তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।

* ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে।

আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার ইতোমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং এরা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে, এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান, তাদের জন্য এ সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভালো উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানীং এ সাইটকে অনুসরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
http://www.minuteworkers. com,
http://www.rapidworkers.com,
http://www.minijobz.com ইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কার্সের মতো আসলেই টাকা পাওয়া যায় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Friday, January 14, 2011

Earn by Internet ( BD Website)

Earn by Internet : BD Website List:
http://www.earnhelp.com/
http://www.bdtips.com
http://www.rashi12.com/AdSense/
http://www.clickonlinejobs.com
http://www.blogkori.com

http://paypalbd.com/home.php
http://www.earn-money-from-bd.info
http://www.onlinejobsbd.com/

EARN BY INTERNET (BOOK)

ইন্টারনেটে লিখে আয়

ইন্টারনেটে লিখে আয়

ইন্টারনেট থেকে আয়-রোজগারের বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইন্টারনেটে বহুমুখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে যে কেউ ঘরে বসেই অর্থ আয় করতে পারেন। এ সুবিধা দিতে ইন্টারনেটে রয়েছে প্রচুর বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট। এগুলোর একেকটির কাজ একেক রকম। তবে ইন্টারনেটে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় করার প্রতি ঝুঁকে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত ব্লগাররা কোনো বিষয়ের ওপর আলাদা একটি ব্লগ খুলে সেখানে ব্লগিং করে থাকেন এবং ব্লগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন যেমন অ্যাডসেন্স অ্যাডব্রাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে আয় করে থাকেন। তবে সবার জন্য অ্যাডসেন্স জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো আয় করা সম্ভব হয় না। অনেকে খুব ভালো লিখেও তেমন একটা আয় করতে পারেন না। অন্যদিকে কেউ কেউ তেমন কিছু না লিখে ব্লগকে জমিয়ে তুলে দু’হাতে আয় করতে থাকেন। তবে যারা ভালো লিখতে পারেন (ইংরেজিতে), তাদের জন্য অ্যাডসেন্স জাতীয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অল্প পরিশ্রমে ভালো আয় করার সুযোগ রয়েছে ইন্টারনেটে।
ইন্টারনেটে গড়ে উঠেছে সৃজনশীল লেখক বা ব্লগারদের জন্য এক মার্কেট প্লেস যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিটি পোস্ট বা আর্টিকেলের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ মূল্য তথা দাম পাবেন। এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনার নিজের ব্লগে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বা তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে রিভিউমূলক পোস্ট লেখার বিনিময়ে আপনাকে তার মূল্য পরিশোধ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ আবার মোট মূল্যের ওপর শতকরা হারও নিজেরা রেখে দেয়। আসুন জেনে আসি তেমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কথা, যারা আপনার নিজের ব্লগে পোস্ট করার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে থাকে।
কিন্তু কীভাবে? এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন-
এম. হারুন অর রশিদ

পে-পার-পোস্ট

http://payperpost.com
পে-পার-পোস্টেও রয়েছে প্রচুর বিজ্ঞাপনদাতা বা অ্যাডভার্টাইজার, যারা নিজেদের পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লেখার জন্য ব্লগারদের অপেক্ষায় থাকে। পে-পার-পোস্ট সর্বাধিক ব্যবহারকারীসমৃদ্ধ ও সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। এটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনের অন্যতম কারণ—তারা ব্লগারের আয়ের কোনো শতকরা হার নেয় না। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পে-পার-পোস্টে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগ অনুমোদন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের আগে আপনার ব্লগ অবশ্যই ন্যূনতম এক মাস পুরনো হতে হবে এবং অন্ততপক্ষে দশটি পোস্ট প্রকাশিত থাকতে হবে। আপনার পোস্ট প্রকাশ করার পর তাদের সেটা অনুমোদনের জন্য জানাতে হবে। পোস্ট অনুমোদিত হওয়ার ত্রিশ দিন পর আপনি পে-পালের মাধ্যমে টাকা পাবেন যা মার্কিন ডলারের হিসাবে হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম পোস্ট হিসেবে আপনাকে পে-পার-পোস্ট নিয়েই একটি রিভিউ লিখতে হবে। সেটা অনুমোদিত হলে আপনাকে ২০ ডলার দেয়া হবে তার মূল্যস্বরূপ।

সোশ্যাল স্পার্ক

http://socialspark.com
সোশ্যাল স্পার্ক একই ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত পে-পার-পোস্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠান আইজিয়া’র তৈরি। এটিকে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার ব্লগকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন এবং রিভিউ লেখার প্রেক্ষিতে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগ অনুমোদিত করার জন্য আপনার ব্লগটি ন্যূনতম তিন মাসের পুরনো হতে হবে। সোশ্যাল স্পার্ক পে-পালের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য নিয়মাবলি পে-পার-পোস্টের মতোই।

রিভিউ মি

http://reviewme.com
রিভিউ মি ইন্টারনেট জগতে আরেকটি বিখ্যাত নাম, যারা প্রতিটি আর্টিকেল বা পোস্টের বিনিময়ে ন্যূনতম ৪০ ডলার দিয়ে থাকে। অবশ্য তারা মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ নিয়ে নেয়। অর্থাত্ প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে আপনার সর্বনিম্ন আয় হতে পারে ২০ ডলার। তবে রিভিউ মি নেটওয়ার্কে আপনার ব্লগ অনুমোদন করাতে চাইলে আপনার ব্লগ অবশ্যই গুগল পেজ র্যাঙ্কে ৪ হতে হবে এবং প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার হিট বা ভিজিটর থাকতে হবে। জনপ্রিয় ও অধিক ভিজিটরসমৃদ্ধ ব্লগগুলোর জন্য সেরা একটি প্রতিষ্ঠান হতে পারে রিভিউ মি।

লাউড লঞ্চ

http://loudlaunch.com
লাউড লঞ্চ হচ্ছে পে-পার-পোস্টের মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান যারা প্রতিটি পোস্টের বিনিময়ে অর্থ দিয়ে থাকে। লাউড লঞ্চ ব্লগ অনুমোদন করতে বেশ সময় নেয় যদিও এদের পোস্ট অনুমোদন করার পর মূল্য পরিশোধ করা হয় খুব দ্রুত এবং পে-পালের মাধ্যমে। লাউড লঞ্চে ব্লগ যুক্ত করার জন্য আপনার ব্লগ অবশ্যই ন্যূনতম দু’মাস পুরনো হতে হবে।

স্পন্সরড রিভিউ

http://sponsoredreviews.com
স্পন্সরড রিভিউ পে-পার-পোস্টের মতোই আরেকটি বিখ্যাত ও বিশাল ইন্টারনেট মানি-ব্লগিং মার্কেট প্লেস। তবে এই নেটওয়ার্কে আপনাকে বিজ্ঞাপনদাতাদের বা যাদের পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লিখতে হবে তাদের খুঁজে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পোস্টটির জন্য আপনাকে দাম বিড করতে হবে। বিজ্ঞাপনদাতা আপনার বিড করা দাম দেখবে এবং প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে। একইভাবে বিজ্ঞাপনদাতাও আপনাকে দিয়ে রিভিউ লেখানোর জন্য বিড করতে পারে এবং আপনি প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। এমনটি হয়ে থাকে যদি আপনার লেখা সৃজনশীল, তথ্যমূলক, গোছানো ও সুন্দর ব্যাখ্যাপূর্ণ হয়। স্পন্সরড রিভিউ আপনার উপার্জিত অর্থের (প্রতিটি পোস্টে প্রাপ্ত মূল্য থেকে) শতকরা ৩৫ শতাংশ কমিশন হিসেবে নিয়ে থাকে। এছাড়া তাদের মূল্য পরিশোধ পদ্ধতিও পে-পালের মাধ্যমে এবং তারা যেসব ব্লগ অনুমোদন করে সেগুলো ন্যূনতম তিন মাস পুরনো হতে হয় এবং মেজর সার্চ ইঞ্জিনগুলোর আওতাভুক্ত হতে হয়।
ওপরের প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও আরও বেশকিছু ওয়েবসাইট আছে যারা এ জাতীয় সেবা দিয়ে থাকে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আপনার ব্লগের প্রতিটি পোস্টের জন্য এসব কোম্পানি টাকা দিয়ে থাকে না। বরং কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পোস্ট লিখতে হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা বিজ্ঞাপনদাতা আপনার লেখাটি পড়ে দেখবে এবং পছন্দ হলে তা অনুমোদন করবে। অনুমোদিত পোস্টের মূল্য পে-পালের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। কিন্তু পে-পাল বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না। সেক্ষেত্রে প্রবাসে থাকা আপনার পরিচিত এবং বিশ্বস্ত কারও সহায়তা নিতে পারেন।

ইন্টারনেটে আয়ের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ :

ইন্টারনেটে আয়ের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ :
ইন্টারনেটে আয়ের উত্স হতে পারে আমাদের অন্যতম আয়ের সঠিক ও সম্মানজনক পথ। প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে যে কোনো পেশার মানুষ অংশ নিতে পারবে। চাকরিজীবীদের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবার ক্লাস এবং রয়েছে সান্ধ্যকালীন ব্যাচের সুবিধা। ইন্টারনেটে আয়ের কাজগুলো প্রজেক্টভিত্তিক হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ শেষে আয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করছে Splendor IT। প্রশিক্ষণে ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১০ ভাগ ছাড় এবং বিশেষ ব্যাচের সুবিধা। ফোন : ০১৯১৬-২৭৮০৫৮

পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং

পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বায়নের এই যুগে কাজের ক্ষেত্র বর্তমানে নিজ দেশ কিংবা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত। স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত বিশ্বে দক্ষ, আধা দক্ষ এমনকি অদক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সংস্কৃতি চালু রয়েছে বিশ্বের দেশে দেশে। বাংলাদেশ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আসে প্রবাসে কর্মরতদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। তবে বর্তমানে বিদেশে গিয়ে দৈহিক পরিশ্রম করেই যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে এমন নয়। তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার এ যুগে দেশে বসেই প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে আউটসোসিং। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চুক্তি অনুযাযী কোন কাজ করাকে সাধারণত আউটসোর্সিং বলা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্স কর্মীদের জন্য অনলাইনে কাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। আউটসোর্সিং ব্যবসা যে কেউ যে কোন স্থান থেকে করতে পারে কিন্তু সমপ্রতি সাইটটি সেরা ৪০০ মধ্যে রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে সম্ভাবনাময় দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি কমর্ীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের কর্মচেষ্টায় র্যাংকিং এর শীর্ষ ৩ এ উঠে আসে ঢাকার নাম। ঢাকা ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এ বিশ্বের সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে আউটসোর্সিং এ আমাদের যতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটেনি। এর মধ্যে অন্যতম ঘাটতি রয়েছে সংশিস্নষ্ট ক্ষেত্রে সচেতনতার বিষয়ে।

ওডেস্কের এক তথ্য মতে ঢাকার এ সফলতার পেছনে রয়েছে সস্তা শ্রম এবং ইংরেজিতে দক্ষতার বিষয়টি। ঢাকার ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং-এ ওডেস্কের মাধ্যমে যেসব কাজ বেশি করে থাকে তার মধ্যে হচ্ছে- গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি এবং চেকআপ, অনুবাদ এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওডেস্কে আউটসোর্সিং-এ শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতের চন্ডিগড়, মোহালী, ঢাকা এবং ফিলিপাইন। তবে ঢাকার অর্ধেক ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকে। ফিলিপাইন এবং আমেরিকার এক রিপোর্ট অনুসারে ভারত হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আউটসোর্সিং করা দেশ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার ডলারের মতো আয় করে থাকে।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়া সম্ভব হলে দ্রুত সমৃদ্ধ হবে আমাদের আউটসোর্সিং সংস্কৃতি। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা নেই। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নেই ইন্টারনেট সংযোগ।

বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওডেস্কসহ অন্য যে কোন আউটসোর্সিং বিষয়ক ওয়েব সাইটে ঢুকলে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কাজের সন্ধান পাওয়া যাবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও কাজের অফার রয়েছে। তবে সংশিস্নষ্ট কাজের দক্ষতা থাকা চাই।

ওয়েবসাইট, আইটি এবং সফটওয়্যার : ওয়েবসাইট, আইটি এবং সফটওয়্যার বিষয়ক কাজ রয়েছে এখানে। সংশিস্নষ্ট বিষয়ের কাজ জানা কর্মীরা এখানে প্রায় ১৫০ ধরনের আলাদা আলাদা কাজের সন্ধান পাবেন।

মোবাইল ফোন এন্ড কম্পিউটিং : মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটিং বিষয়ে পারদর্শীরা এখান থেকে কাজ নিতে পারেন। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা ১৫ ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন।

রাইটিং এন্ড কনটেন্ট : যারা লেখালেখিতে বেশ দক্ষ, তারা এখানে কাজ পেতে পারেন। এখানে ৩৫ ধরনের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখার কাজ পাওয়া যায়।

ডিজাইন, মিডিয়া এন্ড আর্কিটেকচার : আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ডিজাইনের কাজ অনেক বেশি পরিমাণে করে থাকে। এখানে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের ওপর প্রায় ৫৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায।

ডাটা এন্টি : বাংলাদেশে আউটসোর্সিং জগতে সবচেয়ে বেশি হয় ডাটা এন্ট্রির কাজ। এখানে ডাটা এন্টি সংক্রান্ত ১৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

সেলস এন্ড মার্কেটিং : সেলস এন্ড মার্কেটিং ব্যবসা-বাণিজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দিন দিন বাড়ছে এই খাতের পরিধি। এখানে সংশিস্নষ্ট বিষয়ের ওপর ১৬ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড লিগ্যাল : ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়ের কাজ পাওয়া যায় এখানে। সংশিস্নষ্ট ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ ধরনের কাজ পাওয়া যায় এখানে।

ডেফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) ৬ মাস মেয়াদি 'সার্টিফাইড আউটসোর্সিং প্রফেশনাল' কোর্স চালু করেছে। এ কোর্সে আউটসোর্সিং নিয়মাবলী থেকে শুরু করে আয় করা পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপ হাতে কলমে শেখানো হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা শিক্ষাথর্ীদের ব্যাংক একাউন্টে জমা হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করা হবে। ফোন: ৯১১৭২০৫, ০১৭১৩৪৯৩১৬৩, ০১৭১৩৪৯৩২৫১, ০১৭১৩৪৯৩২৬৭।

০০ শরীফ নিজাম

ওয়েবে অর্থ আয়ের তথ্য

ওয়েবে অর্থ আয়ের তথ্য

ওয়েব সাইটে গুগল এ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ঘরে বসে ডলার আয় বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে মিমডোর ডটকম সাইটে। এতে রয়েছে গুগল থেকে টাকা পাওয়ার তথ্য, গুগল কেন টাকা দেবে, এরজন্য কি করতে হবে প্রভৃতি তথ্য। এছাড়াও বিদেশ উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাঋণের তথ্য, স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সহ নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এই সাইটে। সাইটির ঠিকানা: www.mimdoor.com

ইন্টারনেটে আয়ের কোর্সে ভর্তি

ইন্টারনেটে আয়ের কোর্সে ভর্তি
বিনিয়োগ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী এক বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। ইন্টারনেটের আয়ের উত্সকে কাজে লাগিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ঝঢ়ষবহফড়ত্ ওঞ চালু করেছে ইন্টারনেটে আয়ের পূর্ণাঙ্গ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং প্রোগ্রাম। পড়ালেখার পাশাপাশি, চাকরির অবসরে কিংবা কৌশল জানা সত্ত্বেও যারা কাজ না জানার কারণে আয় করতে পারছে না, তাদের জন্য এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম। ঐঝঈ পাস যে কেউ এই কোর্সে অংশ নিতে পারবে। ট্রেনিং প্রোগ্রামে ইন্টারনেটে সহজে আয়ের কৌশল, অর্থ প্রাপ্তির উপায়, ডাটা এন্ট্রিসহ ইন্টারনেটে আয়ের কাজগুলো হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ শেষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিয়মিত আয় করতে পারবে। কোর্স-পরবর্তী সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। ক্লাস : প্রতি শুক্র ও শনিবার। ভর্তির জন্য যোগাযোগ করুন : ৪০ নর্থ রোড, ভূতের গলি, ধানমণ্ডি ঢাকা। ফোন : ০১৯১৬২৭৮০৫৮, ০১৯৩২৪৪৬৯২৬।

Thursday, January 13, 2011

ব্লগিং করে টাকা আয়ের প্রথম শর্ত : অভ্যাস বদলে ফেলুন

ব্লগিং করে টাকা আয়ের প্রথম শর্ত : অভ্যাস বদলে ফেলুন

by আমিনুল ইসলাম সজীব

ইন্টারনেটে ব্লগিং করা এখন কোটি কোটি মানুষের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে এই লক্ষ-কোটি ব্লগারদের একেক জনের উদ্দেশ্য একেক রকম। এরা সবাই কিন্তু ব্লগিং করছেন। কেউ ওয়ার্ডপ্রেসে, কেউ ব্লগস্পটে, কেউ বা আবার জুমলায়। কেউ নিজস্ব হোস্টিং ও ডোমেইনে, কেউবা আবার ফ্রি-তেই সব মেরে দিচ্ছেন। সবার কাজ এক হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। আজ আমি আলোচনা করবো আপনার ব্লগের উদ্দেশ্য বা মোটিভেশন নিয়ে।

এমনও ব্লগার আছেন যারা ২৪ ঘণ্টার ২০ ঘণ্টাই ব্লগিংয়ের পেছনে ব্যয় করেন অথচ ব্লগ থেকে তাদের মাসিক আয় এক পয়সাও না। অন্যদিকে আরেক শ্রেণীর ব্লগার আছেন যারা চাকরীও করছেন আবার পার্ট টাইম ব্লগিংও করছেন। আর মাস শেষে ব্লগিংয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত টাকা গুনছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যতিক্রমটা কেন?

অনেকের ব্লগিং ভালো লাগে তাই ব্লগ করেন। অনেকে এ থেকে টাকা আয় করতে চান তাই ব্লগ লিখেন। আর অনেকে এক লাফে গাছে উঠতে চান, তাই কম্পিউটার আর ইন্টারনেট নিয়ে ব্লগ খুলেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, আপনি কোন উপরের শ্রেণীতে পড়েন?

আমাদের দেশে “ঘরে বসে ইন্টারনেটে ডলার আয় করুন” নামের এক প্রকার রঙচটা বিজ্ঞাপনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট আর ব্লগ থাকলেই কিন্তু আয় করা যায় না। আর দশটা আয়ের ধান্ধার মতোই ব্লগিংয়েও দিতে হয় প্রচুর সময়, শ্রম আর সাধনা। অন্যথায় আপনার ব্যর্থতার গ্যারান্টি দিতে পারি আমি।

এবারে আসুন মূল বিষয়ে আসি। আপনি ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আমি প্রথমে একটি প্রশ্ন করবো আপনাকে। আপনি কি ব্লগ বা ব্লগিং ভালোবাসেন? (অবশ্যই আমি সামহোয়্যার ইন বা প্রথম আলো ব্লগের কথা বলছি না) যদি ব্লগিংয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য টাকা আয় করা হয়, তাহলে ব্যর্থতা আপনার জন্য সামনে অপেক্ষা করছে।

এবারে আসুন জেনে নেয়া যাক মূলমন্ত্রটি। সবাই সবকাজে ভালো করতে পারে না। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা আয় করার বদলে শুধু ব্লগিংকে ভালোবাসতে না পারেন, তাহলে এ পথ ছেড়ে দেয়াই আপনার জন্য উত্তম। শুধু শুধু শ্রমের অপচয় করে লাভ কী? তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সত্যিকারের Passionate ব্লগার হয়ে থাকেন, ব্লগিংয়ের প্রতি, ব্লগের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রতি আপনার যদি অশেষ আগ্রহ থাকে, তাহলে ব্লগিং করে টাকা আয়ের ধান্ধা করা আপনাকে সাজে।

পরিসংখ্যান করলে দেখতে পাবেন বাংলাদেশে মোট ব্লগারের সংখ্যার অনুপাতে সত্যিকারের সফল ব্লগার (যেমন জিন্নাত ভাই) এর সংখ্যা অত্যন্ত কম। এর কারণ কী জানেন? আমরা (বাঙালীরা) মজা করে সময় কাটাতে ভালোবাসি।

হ্যাঁ, আমি সামহোয়্যার ইন কিংবা প্রথম আলো ব্লগের কথাই বলছি। বাংলাদেশে কোনো ফুলটাইম ব্লগার নেই (আমার ধারণা)। সুতরাং, পড়ালেখা কিংবা চাকরী-বাকরীর ফাঁকেই আপনাকে ব্লগে সময় দিতে হয়। যদি সত্যি সত্যিই সাফল্যের মুখ দেখতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই ব্লগিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের সিংহভাগ “ইংরেজি ব্লগসমূহে” দিতে হবে। আমি বাংলা ব্লগিংয়ে নিরুৎসাহিত করছি না। অভ্যাস বদলে ফেলুন বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে, আপনাকে আরো অনেক অনেক অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে ব্লগিংয়ে।

একটা কথা মনে রাখবেন। ব্লগিং হাজার হাজার মানুষের শখের কাজ হলেও যখন এর থেকে আপনি টাকা আয়ের চিন্তা-ভাবনা করবেন, তখন এটি আপনার ব্যবসা।

হ্যাঁ, ব্লগ একটি ব্যবসাকেন্দ্র; যার পেছনে আপনাকে দিতে হবে প্রচুর সময়, শ্রম, সাধনা, পরিকল্পনা এবং ধৈর্য্য। আজ ব্লগ খুলে তিন মাস পর যদি “টাকা আসে না কেন” এই প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনার ধৈর্য্য নেই। ব্লগিং আপনাকে দিয়ে হবে না।

তাহলে আসুন জেনে নিই এই ব্লগিং ব্যবসার পেছনে আপনাকে কোন কোন উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

  • ব্লগকে সবসময় মাথায় রাখুন। আপনি যে বিষয়ের উপর ব্লগিং করছেন, সে বিষয়ের উপর যতবেশি সম্ভব স্টাডি করুন। চেষ্টা করুন আপনার ব্লগের পাঠকদের (যদি কেউ নাও থাকে, তবুও) নিত্যনতুন আপডেট উপহার দিতে।
  • ভুলেও নিজের একমাত্র ব্যক্তিগত ব্লগের উপর নির্ভরশীল হবেন না। আপনি কোনো সেলিব্রিটি নন যে মানুষ আপনার নিত্যদিনের ঘটনা পড়তে আগ্রহী হবে।
  • ব্লগ মার্কেটিংয়ে সর্বোচ্চ (utmost) ধৈর্য্যের পরিচয় দিন। যত বেশি সম্ভব প্রচার করুন আপনার ব্লগের। সোশাল মিডিয়া টুইটার এবং ফেসবুক এক্ষেত্রে আপনার বেশ উপকারে আসবে।
  • বাংলা ব্লগে প্রদত্ত সময় কমিয়ে ইংরেজি দুনিয়ায় প্রবেশ করুন। আমরা জোর করে বাংলা বাংলা বলে চিৎকার করলেও আপাতত কোনো লাভ হবে না। পৃথিবী এখনো ইংরেজির হাতেই। ইংরেজি দুনিয়া মানে আপনার ব্লগের নির্ধারিত টপিকের উপর অন্যান্য ব্লগগুলোও নিয়মিত পড়তে। এছাড়াও সেসব ব্লগারদের প্রতি ব্লগিং সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
  • যারা ইংরেজি ভালো জানেন না, তারা অবশ্যই ইংরেজি ব্লগ বেশি বেশি করে পড়ুন। তবে সর্বক্ষেত্রেই “ব্যক্তিগত ব্লগ” এড়িয়ে চলুন। কারণ, ব্যক্তিগত ব্লগে মানুষ যেভাবে খুশি সেভাবেই লিখে। নিয়ম-কানুনের পরোয়া করে না।
  • আর যদি ভালো ইংরেজি জেনেও থাকেন, তবুও ইংরেজি ব্লগগুলোতে বিচরণ (explore) করুন। মনে রাখবেন, ব্লগিং জগতেরও নিজস্ব কিছু ভাষা আছে। (বলতে পারবেন, btw বলতে কী বোঝায়?) এরকম অসংখ্য ব্লগিং ভাষার তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এগুলো বুঝলে আপনি আপনার লেখাকে অসাধারণ রূপ দিতে পারবেন। আর না বুঝলে আপনি হয়তো আপনার পাঠকের মন্তব্য বুঝতে ব্যর্থ হবেন। উদাহরণঃ আমার ব্লগের পাঠককে যদি আমি btw এর অর্থ জিজ্ঞেস করি, তিনি আমাকে একেবারে নতুন ব্লগার ভেবে আর আমার ব্লগে আসতে উৎসাহ বোধ করবেন না।
  • একটা কথা মনে রাখবেন, সবাই আপনার ব্লগে আসবে নতুন কোনো তথ্যের জন্য। তাই মনে যা চাইলো তাই না লিখে পাঠকদের চাহিদার কথা মাথায় রাখুন।
  • লেখায় স্মার্টনেস এবং রসিকতা আনার চেষ্টা করুন। পাঠক যদি আপনার লেখায় উপকারী তথ্য পায়, তাহলে সে অবশ্যই আবার আসবে। আর যদি লেখা পড়ে একই সঙ্গে উপকৃত হয় আর মজাও পায়, তাহলে সে আপনার ব্লগের আরএসএস ফিডে নিশ্চিত সাবস্ক্রাইব করবে (নিয়মিত পাঠক হয়ে যাবে)।
  • আপনার ব্লগের একই টপিকের অন্যান্য ব্লগারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে আপনারই উপকার হবে। একই সঙ্গে অন্যের ব্লগে মন্তব্য করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

…এবং পড়ুন

যখন আপনি আন্তর্জাতিক ব্লগিং দুনিয়াতে প্রবেশ করেছেনই, আপনাকে এখন প্রচুর পড়তে হবে। ব্লগ ডিজাইন নিয়ে পড়তে হবে, ব্লগ কীভাবে আরো উন্নত ও জনপ্রিয় করা যায় এসব বিষয় জানতে হবে। আর এসবের জন্য বিখ্যাত সব রিসোর্স হলোঃ

আরো অসংখ্য রিসোর্সের খোঁজ পাবেন গুগলে সার্চ করলে। প্রথম প্রথম ইংরেজি পড়তে ভালো নাও লাগতে পারে। মনে রাখুন, আপনিও কিন্তু ইংরেজিতে ব্লগিং করছেন। বিখ্যাত সেসব ব্লগ পড়ার ফলে আপনি দু’দিক থেকে উপকৃত হচ্ছেন। এক, আপনি মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করা বিশ্বব্যাপী পরিচিত এবং এক নম্বর ব্লগারদের (Darren from ProBlogger, the world’s number one successful blog) দেয়া টিপস জানতে পারছেন। দুই, তাদের ইংরেজি লেখার ধরনও শিখতে পারছেন।

আশা করি উপরে বর্ণিত পরামর্শগুলো আপনাদের ব্লগিং ব্যবসায় কাজে লাগবে। কিছু কিছু কথা সোজাভাবে এবং খানিকটা উত্তেজিত ভাষায় বলার জন্য দুঃখিত। একটা ব্লগ খুলে বসলেই টাকা আসবে না। ব্লগ খুলবেন, আর ব্লগিং করবেন বাংলা কমিউনিটি ব্লগে, এমনটা হলে সাফল্যের আশা করা বৃথা। তাই নিজের অনলাইন বিহেভিয়রে পরিবর্তন আনুন। দেখবেন কীভাবে সবকিছু অনুকূলে চলে আসবে।

এভাবে বহুদিনের পরিশ্রম, সাধনা ও অধ্যবসায় আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। (তখন কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখবেন ;))

Source: www.jinnatulhasan.com

Wednesday, January 12, 2011

এলার্টপে – সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি

এলার্টপে – সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি

লিখেছেন nishu
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে শনিবার, 27 নভেম্বর 2010

ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ পদ্ধতি হচ্ছে “পেপাল”। তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হচ্ছে বাংলাদেশে এর কোন সার্ভিস নেই এবং কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে না। আর এজন্য সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদেরকে। পেপাল না থাকার কারণে অনেক রাস্তা ঘুরিয়ে, বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ দিয়ে সবশেষে টাকা হাতে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পেপালের বিকল্প না খোজে আমাদের আর কোন উপায় থাকে না। পেপালের প্রধান বিকল্প হিসেবে “মানিবুকার্স” নিয়ে এর আগে আমরা “কম্পিউটার জগৎ” এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম। এটি পেপালের মতই একটি সহজ ও জনপ্রিয় পেমেন্ট পদ্ধতি। তবে মানিবুকার্সের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এর কোন সার্ভিস নেই, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোন ওয়েবসাইট বা সেদেশের কোন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে মানিবুকার্সের মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়া যায় না। সুতরাং মানিবুকার্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যার সমাধান পুরোপুরি হচ্ছে না। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ফি পাশ কাটিয়ে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা পেতে চান তাদের জন্য মানিবুকার্স পেপালের ভাল বিকল্প নয়।

এই পর্বে তৃতীয় আরেকটি পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যা বাংলাদেশীদের জন্য একটি চমৎকার সমাধান বলা যায়। পদ্ধতিটি হচ্ছে এলার্টপেwww.AlertPay.com)। এটি একটি কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালে মাত্র ৬ জন কর্মচারী নিয়ে এলার্টপে যাত্রা শুরু করে এখন এটি ৭০ জনের অধিক কর্মচারী এবং ৪৫ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪,৫০০ নতুন ব্যাবহারকারী এলার্টপে সাইটের রেজিষ্ট্রেশন করছে। বিশ্বের ১৯০ টি দেশে এর সার্ভিস রয়েছে, যাতে ২৩টি মূদ্রায় অর্থ লেনদেন করা যায়। এলার্টপে ৪৬টি দেশে আঞ্চলিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকে। (


একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া:
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট রয়েছে – Personal Starter, Personal Pro এবং Business। একাউন্টগুলোর যেকোন একটিতে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট পরিবর্তন করা যায়। তিনটি একাউন্টের সাহায্যই ইন্টারনেটে নিরাপদে কেনাকাটা করা এবং বিনামূল্যে অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এগুলো হচ্ছে -

১) Personal Starter:
এই ধরনের একাউন্টের একমাত্র বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করতে কোন ধরনের ফি দিতে হয় না। তবে এই ধরনের একাউন্টে কেউ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিলে তা পাওয়া যায় না। আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি টাকা গ্রহণ করা যায় না এবং সকল পেমেন্টসহ সর্বমোট ২,০০০ ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।

২) Personal Pro:
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ধরনের একাউন্টে সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টাকা গ্রহণে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এক্ষেত্রে অন্য একজন এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করলে ২.৫% + ০.২৫ ডলার ফি দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী টাকা পাঠালে ফি এর পরিমাণ হয় ৪.৯% + ০.২৫ ডলার। এই ধরনের একাউন্টের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করলে নিজের ওয়েবসাইটে এলার্টপে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবে।

৩) Business:
এই একাউন্টটির সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এই একাউন্টের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে একাধিক ব্যাবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। আর টাকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে Personal Pro একাউন্টের মতই সমপরিমাণ ফি দিতে হয়।

এলার্টপে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি পেপাল বা মানিবুকার্স মতই। এজন্য প্রথমে একাউন্টের ধরন নির্ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। পিন নাম্বারটি পাসওয়ার্ডের মতই একটি গোপন নাম্বার যা অর্থ লেনদেনের সময় প্রয়োজন পড়বে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একাউন্টটি টাকা গ্রহণের উপযোগী হবে। তবে টাকা নিজের ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডে পাঠাতে একাউন্টটিকে Verify করতে হবে। এজন্য Become AlertPay Verified নামক একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যাদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আছে তারা এর মাধ্যমেও Verify হতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার যাচাই করা হয়।

এলার্টপে যেভাবে কাজ করে তা নিচের চিত্রে মাধ্যমে দেখানো হল।

দেশে টাকা আনার উপায়:
এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হল – চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার।

১) চেক:
এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ৪ ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারেবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তোলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনামূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে।

২) ক্রেডিট কার্ড:
যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। আমারদের দেশে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের Payoneer ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। তারাও এই কার্ডে সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে ১ থেকে ২ ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর Payoneer সাইটে লগইন করে দেখতে হবে কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ৫ ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করে – যেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়। যাদের Payoneer মাস্টারকার্ড নেই তারা www.vworker.com সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাস্টারকার্ডটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংক থেকে।

৩) ব্যাংক ট্রান্সফার:
এলার্টপে থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র ০.৫ ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ১ ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন।

৪) ব্যাংক ওয়্যার:
যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT BIC যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

প্রধান প্রধান আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এলার্টপে এখনও ব্যপকভাবে সমাদৃত হয়নি। তবে 99Designs, Magento, Microworks এর মত সাইট, PTC সাইট এবং BUX সাইটগুলোতে ব্যাপকভাবে এলার্টপে এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অর্থ লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশী প্রচুর ফ্রিল্যান্সার ইতিমধ্যে এলার্টপে এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে টাকা দেশে নিয়ে আসছেন। এলার্টপে সাইটের একটি ভাল সার্ভিস হচ্ছে এর সাপোর্ট সেন্টার যার মাধ্যমে কোন সমস্যায় পড়লে খুব দ্রুতই সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষ করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন, ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড যাচাই এ কোন সমস্যায় পড়লে সাপোর্ট সেন্টার মাত্র কয়েকদিনেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেয়। এইসকল সুবিধার কারণে এলার্টপে সার্ভিসটির প্রসার দিন দিন বাড়ছে।

Source: www.blog.techtodaybd.com